অবৈধভাবে এস আলমের কালো টাকা সাদা করে ৩ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

সাময়িক বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ কর্মরত ছিলেন।
সিঙ্গাপুর, সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা, বিএফআইইউ, এস আলম গ্রুপ, সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থপাচার,

ভুয়া পে অর্ডারে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের দুই ছেলের ৫০০ কোটি অবৈধভাবে সাদা করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন একজন অতিরিক্ত কমিশনারসহ তিন আয়কর কর্মকর্তা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে "কালো টাকা সাদা করতে 'ভুয়া' পে অর্ডার দিয়েছিলেন এস আলমের দুই পুত্র" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কর কর্মকর্তারা।

এদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি আদেশে কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান ও চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম।

সাময়িক বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ কর্মরত ছিলেন।

সে সময় প্রথমবারের মতো ৫০ কোটি টাকার দুটি ভুয়া পে অর্ডারের মাধ্যমে ৫০০ কোটি কালো টাকা সাদা করেন এস আলমের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির।

প্রথম দফায় ৫০ কোটি টাকার দুটি ভুয়া পে অর্ডারে কালো টাকা সাদা করতে ব্যর্থ হন তারা।

এর কয়েক মাস পর দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় দুটি পেমেন্টে সফল হন তারা। এতে বোঝা যায়, প্রথম দুটি পে অর্ডার ভুয়া ছিল।

বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির ৫০০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার মধ্যেমে ৭৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। দ্য ডেইলি স্টারের প্রাপ্ত নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

Comments