এস আলম পরিবারের স্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ৮৭ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের পরিবারের ১৬ সদস্যের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং ৮৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে করা মামলা আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত দলের প্রধান উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ এ বিষয়ে দুটি পৃথক আবেদন জমা দেন আদালতে।
এসব সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম মাহির ও আসাদুল আলম, ওসমানের স্ত্রী ফারজানা বেগম এবং এস আলমের ভাই আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌসের নামে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম রেজা আদালতে আবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রথম আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ইউনিয়ন ব্যাংকের ১৯টি অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৩ টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৬৮টি অ্যাকাউন্টে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকা জমা করেছেন।
যেকোনো সময় অ্যাকাউন্টগুলো থেকে এসব অর্থ স্থানান্তর বা পাচারের সম্ভাবনা আছে। তাই, অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অপর আবেদনে বলা হয়, এস আলম, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চট্টগ্রাম ও ঢাকার গুলশানে ভবন ও প্লট নির্মাণ করেছেন এবং কিনেছেন যার বাজার মূল্য ২০০ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা।
যেন তারা স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে না পারে সেজন্য এগুলো বাজেয়াপ্ত করার আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।
এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর একই আদালত সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তার পরিবারের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ওই আবেদনে বলা হয়, দ্য ডেইলি স্টার ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট 'এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে যেখানে সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাইকোর্ট ৬ আগস্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই অফশোর ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়।
Comments