এইচএসসি-সমমান: শতভাগ পাস ১৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

ছবি: পলাশ খান/স্টার

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এক হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ।

এর আগে ২০২৩ সালের পরীক্ষায় ৯৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করে। গত বছরের তুলনায় এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩৫টি।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪ এ গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪। এ বছর পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

এ ছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।

ঘরে বসে যেভাবে জানা যাবে ফলাফল

সারা দেশের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি প্রার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উদাহরণ—HSC DHA 123456 2024 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।

এ ছাড়া, http://www.educationboardresults.gov.bd, http://www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে। রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে প্রবেশ করে ফলাফল শিট ডাউনলোড করা যাবে।

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষা পিছিয়ে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

যদিও বাকি পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে মাঝপথে বাতিল করা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।

Comments

The Daily Star  | English

Have patience for election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday said the government would issue a roadmap to the election as soon decisions on electoral reforms are made.

5h ago