৫৫৬ রান করেও ইনিংস হার, ইতিহাসে পাকিস্তানই প্রথম

ছবি: এএফপি

অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি আবরার আহমেদ। তাই মুলতানের ব্যাটিং স্বর্গে জয় তুলে নিতে ইংল্যান্ডকে ফেলতে হলো পাকিস্তানের বাকি তিনটি উইকেট। সবগুলোই নিলেন বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। এতে শেষদিনের প্রথম সেশনেই ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারল পাকিস্তান। পাশাপাশি তারা নাম লেখাল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে।

টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানই প্রথম দল যারা প্রথম ইনিংসে অন্তত ৫০০ রান তুলেও ইনিংস হারের তেতো স্বাদ পেল। এতে দেড় বছরের মধ্যে 'মুক্তি' মিলল আয়ারল্যান্ডের। কোনো টেস্টের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করে ইনিংস ব্যবধানে হারার আগের রেকর্ড ছিল তাদের। গত বছরের এপ্রিলে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৯২ রান তুলেছিল আইরিশরা। পরে হেরেছিল ইনিংস ও ১০ রানে।

শুক্রবার পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২২০ রানে। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। এদিন তাদের ইনিংস টেকে ১৭.৫ ওভার। এর আগে টস জিতে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করে। পরে ইংল্যান্ড জবাব দিতে নেমে নেয় ২৬৭ রানের লিড। ম্যাচসেরা হ্যারি ব্রুকের ট্রিপল সেঞ্চুরি ও জো রুটের ডাবল সেঞ্চুরিতে তারা ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৭ উইকেটে ৮২৩ রান তুলে।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেট পড়েনি। চতুর্থ দিন শেষে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটার আগা সালমান ও আমির জামাল দেখিয়ে চলেন দৃঢ়তা। তাদের জুটি শতরান স্পর্শ করে ১২৯ বলে। জয়ের সুবাস পেতে থাকা ইংল্যান্ড এরপর চেপে ধরে পাকিস্তানকে। পানি পানের বিরতির পর চতুর্থ বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন সালমান। লাভ হবে না জেনেও রিভিউ নিয়ে তিনি থামেন ৮৪ বলে ৬৩ রানে।

১০৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙার পর বেশিদূর এগোতে পারেনি স্বাগতিকরা। জামাল ১০৪ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। শাহিন শাহ আফ্রিদি বিদায় নেন লিচকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। নাসিম শাহের ক্যাচ উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথের হাতে জমলে স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দে মাতে ইংলিশরা। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

শান মাসুদের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান হারল টানা ছয়টি টেস্টে। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩-০ ব্যবধানে ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিব্রতকর হারের অভিজ্ঞতা মিলল তাদের।

দেশের মাটিতে এই নিয়ে টানা ১১ টেস্ট জয়হীন পাকিস্তান। নিজেদের মাঠে এই সংস্করণের শেষবার তারা জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ঘরের মাটিতে পাকিস্তান অতীতে আর একবারই টানা ১১ টেস্ট জয়হীন ছিল। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। ওই খরা চলাকালীন পাকিস্তান ড্র করেছিল ১০ টেস্ট। হেরেছিল কেবল একটিতে। তবে এবার তাদের অবস্থা একেবারে সঙিন। চারটি ড্র করলেও হেরেছে বাকি সাতটিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

7h ago