সুদানে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে হামলা, সামরিক বাহিনীকে দায়

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই ঘটনার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনীর হাত আছে। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি।
সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘাত নিত্যদিনের ঘটনা। ছবি: রয়টার্স
সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘাত নিত্যদিনের ঘটনা। ছবি: রয়টার্স

সুদানের রাজধানী খার্তুমে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। এই হামলায় বাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূত সুরক্ষিত আছেন বলে জানা গেছে।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই ঘটনার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনীর হাত আছে। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি।

কিন্তু সেনাবাহিনীর বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিদ্রোহী আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ। দীর্ঘদিন ধরে আরএসএফকে আমিরাত মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সেনা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মাস ধরে সুদানে গৃহযুদ্ধ চলছে। গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে সেনাবাহিনীরই অংশ ছিল আরএসএফ। এই গোষ্ঠী সরকার ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে দেশটিতে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।

দুই পক্ষের তুমুল লড়াইয়ে ইতোমধ্যে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আশেপাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। যে কোনো মুহূর্তে দেশটিতে বড় আকারে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি

গত জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, আরএসএফকে সাহায্য করছে আমিরাত—এমন প্রমাণ তাদের হাতে আছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চাদ সীমান্ত দিয়ে আরএসএফের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে আমিরাত।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গতকাল সুদানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দিয়েছে।

শরণার্থী শিবিরে মানবেতর অবস্থায় সুদানিরা। ছবি: রয়টার্স
শরণার্থী শিবিরে মানবেতর অবস্থায় সুদানিরা। ছবি: রয়টার্স

এতে বলা হয়েছে, আরএসএফকে সহায়তা করেছে আরব আমিরাত। আজ সেই আরএসএফই তাদের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেনাবাহিনী কখনোই এ ধরনের কাজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

আমিরাত অবশ্য তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনার জন্য সরাসরি সুদানের সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেছে।

রয়টার্স, এএফপি

 

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago