ফ্রান্স দল থেকে অবসরের ঘোষণা বিশ্বকাপজয়ী গ্রিজমানের

তিনি ফ্রান্সের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন (১৩৭) এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ গোল করেছেন (৪৪)।
ছবি: এএফপি

বয়স ৩৩ পেরিয়ে গেলেও দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন আতোঁয়ান গ্রিজমান। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আর দেখা যাবে না তাকে। বিশ্বকাপজয়ী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বিদায় বলে দিলেন ফ্রান্স জাতীয় দলকে।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন গ্রিজমান। গত এক দশক ধরে ফরাসিদের জার্সিতে ছিল তার সরব উপস্থিতি। দেশটির ফুটবল ইতিহাসের দারুণ কিছুর অর্জন ও রেকর্ডের মালিক তিনি।

বিদায়ী বার্তায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ তারকা গ্রিজমান বলেন, 'আজ ভীষণ আবেগের সঙ্গে আমি ফ্রান্স জাতীয় দলে থেকে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর ঘোষণা করছি। ১০টি অবিশ্বাস্য বছর, সাফল্য ও অবিস্মরণীয় কিছু মুহূর্তের পর আমার জন্য ক্যারিয়ারের একটি পাতা ওল্টানোর এবং নতুন প্রজন্মের জন্য পথ ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। এই জার্সি গায়ে পরা ছিল সম্মানের ও একটি বিশেষ ব্যাপার।'

২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল গ্রিজমানের। তিনি ফ্রান্সের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন (১৩৭) এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ গোল করেছেন (৪৪)। একটি দুর্দান্ত রেকর্ডও রয়েছে তার নামের পাশে। ২০১৭ সালের জুন থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফরাসিদের হয়ে একটানা ৮৪ ম্যাচে মাঠে নামার কীর্তি গড়েন তিনি।

জাতীয় দলের হয়ে গ্রিজমানের অর্জনের তালিকাও দীর্ঘ। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন তিনি। আরও জিতেছেন ২০২০-২১ মৌসুমের উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। এছাড়া, সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে ও ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হওয়া ফ্রান্সের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক আঙিনায় গ্রিজমানের ব্যক্তিগত সাফল্যও কম নয়। ২০১৬ সালে ফ্রান্সের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তিনি। ওই বছর হওয়া ইউরোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে সিলভার বুটের পাশাপাশি পান ব্রোঞ্জ বল।

গত ১০ সেপ্টেম্বর নেশন্স লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারায় ফ্রান্স। সেদিন বদলি হিসেবে ৭৯তম মিনিটে মাঠে নামেন গ্রিজমান। সেটাই হয়ে থাকছে জাতীয় দলে তার শেষ ম্যাচ।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago