প্যারিসে ফ্রান্স-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের সফল বৈঠক

প্যারিসে ফ্রান্স-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক সফল হয়েছে। ছবি: ডয়চে ভেলে
প্যারিসে ফ্রান্স-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক সফল হয়েছে। ছবি: ডয়চে ভেলে

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার সঙ্গে মধ্যস্থতায় এবার ইউরোপও যোগ দিয়েছে। প্যারিস বৈঠকের পর এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার প্যারিসে ফ্রান্স, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা একটি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠক সফল হয়েছে বলেই দাবি করেছে সব পক্ষ।

গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। যুদ্ধ বন্ধের প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কার্যত ব্রাত্য ছিল ইউরোপীয় দেশগুলি। এদিন প্যারিস বৈঠকের পর ইউরোপীয় দেশগুলোও এই আলোচনায় যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফকে নিজেই স্বাগত জানান।

সম্প্রতি রাশিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন উইটকফ।

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠক সফল হয়েছে। সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

ওই বৈঠকে নির্ধারণ হয়েছে, আগামী সপ্তাহে লন্ডনে এ বিষয়ে আরও একটি বৈঠক হবে এবং সেখানে ফ্রান্স, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা থাকবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ওই আলোচনায় যোগ দিতে রাজি হয়েছেন এবং একই প্রক্রিয়ায় আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মতি দিয়েছেন।'

বৃহস্পতিবার প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেন। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরাও প্যারিসে পৌঁছেছেন। বৈঠক শুরুর আগে মাখোরঁ কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য শান্তিচুক্তি কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছে।

জেলেনস্কির মন্তব্য

ক্ষমতা গ্রহণ করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বস্তুত, এই কাজটি করতে গিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের কার্যত অন্ধকারে রেখে ট্রাম্প ক্রেমলিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করে দেন। ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্যের বিষয়টি নিয়েও বিতর্কিত অবস্থান নেয় অ্যামেরিকা। ট্রাম্প ঘোষণা করে দেন, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি শান্তিচুক্তির খসড়ায় ইউক্রেন সম্মতি জানালেও সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধ-বিরতির ওই খসড়া তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, প্যারিসে যারা বৈঠক করছেন, তারা ক্রেমলিনের ওপর আরও চাপ তৈরি করুক।

জেলেনস্কির ভাষায়, 'রাশিয়া প্রতি দিন, প্রতি রাত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ চাপের সামনে ফেলা। তাহলেই এই যুদ্ধের অবসান সম্ভব। শান্তিচুক্তি তৈরি হওয়া সম্ভব।'

তবে বৃহস্পতিবারই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই বৈঠককে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কারণ তারা মনে করেন, ইউরোপের নেতারা চান না যে যুদ্ধ বন্ধ হোক।

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

6h ago