সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি ‘গুজব’

সরকারি লোগো। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হচ্ছে বলে ছড়ানো খবরকে 'গুজব' বলে উল্লেখ করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল বিষয়ে রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর হচ্ছে বলে অনেক জায়গায় সংবাদ হচ্ছে উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জানতে এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে মোখলেস উর রহমান বলেন, 'আমার একটাই উত্তর, গুজবে কান দেবেন না।'

এরপর ওই সাংবাদিক জানতে চান, 'আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?' জবাবে জ্যেষ্ঠ এই সচিব বলেন, 'আমি তো এক কথায় বলে দিলাম, গুজবে কান দেবেন না। আমি যদি এই কথা বলি, তার মানে এটা গুজব।'

বৈঠকে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আপাতত সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।

বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সাধারণত সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, আর অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৫৯ বছর। কিছু চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদনও করেছিল। তবে বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির আওতার মধ্যে পড়ায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবিসংক্রান্ত সেই চিঠি বা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই সংক্রান্ত প্রস্তাবটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এরপর থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago