মার্কিন নির্বাচন: ট্রাম্প না হ্যারিস, বিতর্কের পর কে এগিয়ে

দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হবেন ট্রাম্প? নাকি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে আসবেন কমলা হ্যারিস?

এখনই সেই রায় দেওয়া যাচ্ছে না, তবে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন হ্যারিস।

গত মঙ্গলবার পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প-হ্যারিসের মধ্যকার বিতর্কটি প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ দর্শক সরাসরি দেখেছে। কিন্তু এই বিতর্কে আসলে কে জিতেছে? রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থীই দাবি করেছেন তারা বিতর্কে জয়লাভ করেছেন।

তবে নিবন্ধিত ভোটারদের উপর চালানো রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে ৫৩ শতাংশ বলেছেন কমলা হ্যারিস বিতর্কে জয়ী হয়েছেন, ২৪ শতাংশ বলেছেন ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের জরিপে ৫৫ শতাংশ কমলাকে জয়ী ঘোষণা করেছেন, ২৫ শতাংশ ট্রাম্পকে।

জাতীয় জরিপ

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিতবেন, এই সংক্রান্ত জাতীয় জরিপেও কমলা এগিয়ে আছেন।

জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নাম প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত সব জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যারিস প্রার্থিতা পাওয়া পর প্রথম জরিপে দেখা যায়, তিনি ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। গত দুই মাস সেই ব্যবধান ধরে রেখেছেন হ্যারিস। বিতর্কের পর সে ব্যবধান কিছুটা বেড়েছে। 

রয়টার্সের জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হ্যারিস (হ্যারিস ৪৭ শতাংশ, ট্রাম্প ৪২ শতাংশ)। আগস্টে এই ব্যবধান ছিল চার পয়েন্টের (হ্যারিস ৪৫ শতাংশ, ট্রাম্প ৪১ শতাংশ)।

ইউগভের জরিপে এই দুই প্রার্থীর ব্যবধান খুবই অল্প। তাদের জরিপ অনুযায়ী, এই মুহূর্তে হ্যারিসের সমর্থন ৪৬ শতাংশ, ট্রাম্পের ৪৫।

মর্নিং কনসাল্টের জরিপেও হ্যারিস এগিয়ে। সেখানে হ্যারিস (৫০ শতাংশ) ট্রাম্পের (৪৫ শতাংশ) চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।

দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে কে এগিয়ে?

জাতীয় জরিপ মূলত দেশজুড়ে সার্বিক জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে আছেন, সেই ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু সার্বিক জনপ্রিয়তার উপর নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে না। ২০১৬ নির্বাচনে সার্বিকভাবে হিলারির চেয়ে কম ভোট পেয়েও নির্বাচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প।

কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে থাকে 'ইলেকটোরাল কলেজ' পদ্ধতিতে। যেখানে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। সেই রাজ্যগুলোকেই বলা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য (ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট)।

সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, এই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। সাতটির মধ্যে চারটি অঙ্গরাজ্যে (নর্থ ক্যারলিনা, নেভাদা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা) দুই প্রার্থীর মধ্যকার ব্যবধান এক পয়েন্টের চেয়েও কম। দুটি অঙ্গরাজ্যে (মিশিগান ও উইসকন্সিন) অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হ্যারিস।

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Over the past 11 months, 349 incidents of political violence took place across the country, BNP and its affiliated organisations were linked to 323 of these

10h ago