‘কমলাকে ভোট দেব’, বললেন টেইলর সুইফট

টেইলর সুইফট ও কমলা হ্যারিস। কোলাজ ছবি: এএফপি
টেইলর সুইফট ও কমলা হ্যারিস। কোলাজ ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে মুখোমুখি হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। বিতর্ক শেষে কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন পপ মেগাতারকা টেইলর সুইফট।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

টেইলর কমলা হ্যারিসকে একজন 'অবিচল, প্রতিভাবান নেতা' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তিনি গোলযোগ সৃষ্টির পরিবর্তে দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।

ইনস্টাগ্রামে তার ২৮ কোটি ফলোওয়ারের উদ্দেশে দেওয়া পোস্টে টেইলর জানান, তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকেই ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট দেবেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত এই পোস্টে ৪৮ লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে।

এখন পর্যন্ত কমলার পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো তারকাদের মধ্যে টেইলরই সবচেয়ে খ্যাতিমান।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা প্রায় কাছাকাছি।

'আমি কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালজকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেব। আমি কমলাকে ভোট দেব কারণ আমি বিশ্বাস করি, তিনি এমন সব অধিকার ও উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন, যেগুলোর বাস্তবায়নের জন্য একজন প্রকৃত যোদ্ধা প্রয়োজন।'

ইনস্টাগ্রামে পোষা বেড়ালকে কোলে নিয়ে ছবি দেন টেইলর। সেখানে তিনি নিজেকে 'নি:সন্তান বেড়ালমানবী' বলে আখ্যায়িত করেন। এ কথার মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পের রানিং মেট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্সকে খোঁচা দেন। ২০২১ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতাকে 'এক দল নি:সন্তান বেড়ালমানবী' বলে অপমান করার চেষ্টা করেন।

তবে পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, এটা ছিল বিছক বিদ্রূপ বা সারক্যাজম।

২০২০ সালের নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে ছিলেন টেইলর।

কনসার্টে গান পরিবেশন করছেন টেইলর। ছবি: রয়টার্স
কনসার্টে গান পরিবেশন করছেন টেইলর। ছবি: রয়টার্স

ইতোমধ্যে কমলা হ্যারিসকে হলিউডের অসংখ্য অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনির্মাতা সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার অধিবাসী কমলাকে তারা 'নিজেদের' প্রার্থী মনে করেন।

কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ একজন সাবেক আইনজীবী। তিনি মূলত হলিউডের আইনজীবীদের আইনী সেবা দিতেন।

কমলা ও এমহফের লস আঞ্জেলসের ব্রেন্টউডে তারকাদের মহল্লায় একটি বাড়ি আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago