বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হেলেন লাফেভ

বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হেলেন লাফেভ
হেলেন লাফেভ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস (বাম থেকে) | ছবি: বাসস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করার পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।

আজ সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন মনোভাবের কথা তুলে ধরেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।

হেলেন লাফেভ বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত।

আগামী দিনগুলোতে ঢাকা ও ওয়াশিংটন আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

চলতি সপ্তাহে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করবে জানিয়ে হেলেন লাফেভ বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, আইনের শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন শুরু করেছে এবং এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে। 
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ফলে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় হেলেন রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের পাশে থাকায় ড. ইউনূস ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সহায়তার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমূল সংস্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে উল্লেখ তিনি আরও বলেন, 'একটি যৌক্তিক সময়ের পরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'

বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দাতাগোষ্ঠীকে একটি 'কমন প্ল্যাটফর্ম' গঠন এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
 
ড. ইউনূস বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

এ সময় মানবাধিকার, সাইবার নিরাপত্তা আইন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বিভিন্ন পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

হেলেন জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তার সরকার বাংলাদেশে একটি প্রসিকিউটোরিয়াল সার্ভিস স্থাপনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cargo ship with Pakistani goods reaches Ctg anchorage

On its second trip, it brings refined sugar, dolomites, fabrics, electronics, etc from Pakistan and UAE

1h ago