জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

স্টার ফাইল ফটো

নিম্ন আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আজ একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল- নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে।

এই অনুচ্ছেদটিকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী জনস্বার্থে রিটটি দাখিল করেন।

আবেদনে তারা বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে আদেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে প্রার্থনা করেন।

পিটিশনে তারা বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা ও পদোন্নতির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হওয়ায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত এ ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে বলে আবেদনে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীরা হলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মাহাদী, আব্দুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও জায়েদ বিন আমজাদ।

আবেদনে তারা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মূল কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এই মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়নের ভার কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

পৃথক সচিবালয়ের অভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে বিচারিক কাজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলে রিট আবেদনকারীরা জানিয়েছেন।

রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদনটির শুনানি হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

7h ago