দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি
মনে হচ্ছিল রাওয়ালপিন্ডির পাটা উইকেটে নিষ্প্রাণ ড্রর দিকেই এগুচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু দারুণ বোলিংয়ে শেষ দিনে পাকিস্তানকে চেপে রোমাঞ্চ জাগিয়েছে বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের মিশেলে দারুণ এক ফলের পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রোববার পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনের পর কোণঠাসা অবস্থা পাকিস্তানের। ৬ উইকেটে ১০৮ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে তারা। এখনো বাংলাদেশ থেকে স্বাগতিকরা পিছিয়ে ৯ রানে। এই সেশনে ৮৫ রান নিতে পেরেছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ নিয়েছে ৫ উইকেট। এই সেশনে দলের সফল বোলার সাকিব, ২৪ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট।
স্বাগতিকদের বাকি ৪ উইকেট দ্রুত ফেলে দিতে পারলে সহজেই ম্যাচ জেতার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে কখনোই টেস্ট জেতা হয়নি লাল সবুজ প্রতিনিধিদের।
রোববার পঞ্চম দিনের শুরুতে শান মাসুদকে কট বিহাইন্ড করেন হাসান। তার বলে আউটসাইড এজড হয়েও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিপার লিটন দাস নিশ্চিত থাকায় রিভিউ নেয় সফরকারীরা, সফলতাও আসে তাতে। বাবর আজমকে প্রথম বলেই আউট করার সুযোগ ছিলো। শরিফুল ইসলামের বলে তিনি ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। লিটন ডান দিকে ঝাঁপিয়েও সেটা ধরতে পারেননি।
জীবন পেয়ে ২২ রান যোগ করেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। পরে নাহিদ রানার বলে প্লেইড অন হয়ে ফেরেন তিনি। অভিজ্ঞ সাকিব বল করতে এসে সাফল্য আনতে দেরি করেননি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিলকে কাবু করেন তিনি। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাওয়া শাকিল সাকিবের বলে পরাস্ত হন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন লিটন। বাংলাদেশ থেকে এখনো পিছিয়ে পাকিস্তান।
আব্দুল্লাহ শফিক থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে টেনে নিচ্ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ সাকিব থামান তাকে। সাকিবের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৭ করা শফিক।
খানিক পর আগা সালমানকে স্লিপে সাদমানের দারুণ ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিড নেওয়ার আগেই ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
Comments