বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দিনাজপুর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

দিনাজপুরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও তার ভাই দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া ফুলবাড়ী উপজেলায় দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান ফিজারের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে বীরগঞ্জ থানায়। হামলা হয়েছে বীরগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে।

আজ রোববার সকাল থেকে দিনাজপুর শহরের পলিটেকনিক মোড়ে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১২টার দিকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পলিটেকনিক মোড় থেকে মিছিল নিয়ে লিলিমোড়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান। সাড়ে ১২টার দিকে মিছিলটি দিনাজপুর সদর হাসপাতাল এলাকায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও ইকবালুর রহিমের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।

এ সময় আন্দোলনকারীদের একটা অংশ মানবঢাল তৈরি করে তা প্রতিহতের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এর আধঘণ্টার মধ্যে শত শত মানুষ বিচারপতি ইনায়েতুর ও ইকবালুর রহিমের বাড়ির নিচতলা ও দোতলায় ঢুকে ভাঙচুর চালায়। নিচতলার নিচের অংশে আগুন দেয়।

পর্যায়ক্রমে দিনাজপুর হাসপাতাল মোড়, ভুটিবাবুর মোড় ও লিলিমোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

দিনাজপুর ফায়ার ষ্টেশনের সহরকারী পরিচালক জানান, খবর পেয়ে ইনায়েতুর রহিম ও ইকবালুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে তারা আগুন নেভান।

পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ পুলিশের গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। চালক নিরাপদে সরে যেতে পারলেও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাছাকাছি থাকা আরেকটি পুলিশ ভ্যানেও আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিকাল ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago