শিল্পীজীবনে যা কিছু পেয়েছি সবই অর্জন: ববিতা

ববিতা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নায়িকা ববিতা অভিনয়জীবনে অনেক সাড়া জাগানো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। পেয়েছেন ব্যাপক খ্যাতি। সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত পরিচালকের সিনেমায় অভিনয় করে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা ছাড়াও বেশ কয়েকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

সোনালি দিনের সিনেমার নায়িকা ববিতার জন্মদিন আজ ৩০ জুলাই।

সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন 'অশণি সংকেত'খ্যাত এই নায়িকা।

দ্য ডেইলি স্টারকে ববিতা বলেন, 'করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন বাসায় আছি। করোনা নেগেটিভ এসেছে। তবে শরীরটা প্রচণ্ড দুর্বল। খুব ক্লান্ত লাগে। বিশ্রামে আছি।'

ছবি: সংগৃহীত

'জন্মদিনটা কানাডায় ছেলের সঙ্গে কাটানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তা তো হলো না। এত সাবধানতা অবলম্বন করার পরও... পটাশিয়াম বেড়ে গিয়েছিল। ভয় পেয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তার দয়ায় ও সবার দোয়া-ভালোবাসায় এখন কিছুটা ভালো আছি, বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি।'

জন্মদিন প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, জন্মদিনে কিছু করি না কখনোই। ভক্ত ও কাছের মানুষদের ভালোবাসা পাই। তারা উইশ করেন। নিজ থেকে কিছু করি না। এখন তো আরও কিছু করার প্রশ্নই আসে না।

ববিতার একমাত্র ছেলে অনীক কানাডাপ্রবাসী। প্রতি বছর জন্মদিনে ছেলে অনীকের কাছে চলে যান তিনি। এবারও সেরকম পরিকল্পনা ছিল। বলেন, 'পরিকল্পনা করেছিলাম জন্মদিনে ছেলের কাছে থাকব। কিন্তু তা আর হলো না। টিকিটও কেটেছিলাম। হঠাৎ শরীর খারাপ করে। হাসপাতালে চলে যাই। একবার করোনা নেগেটিভ আসে, আবার পরদিন পজিটিভ আসে।'

ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সুস্থ হওয়ার পরই ছেলের কাছে চলে যাব। মা-ছেলে মিলে সময় কাটাব। কিছুটা সুস্থ বোধ করায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কিন্তু দুর্বলতা কাটছে না।

'জন্মদিনে ছেলেকে খুব মিস করছি। সারাদিন ছেলের কথা মনে পড়েছে। অবশ্য শরীর খারাপ হওয়ার পর থেকেই ছেলের কথা বেশি বেশি মনে পড়ছে।'

শিল্পীজীবনের অর্জন কী, জানতে চাইলে একসময়ে সাড়া জাগানো এই নায়িকা বলেন, শিল্পীজীবনে যা কিছু পেয়েছি সবই অর্জন। তবে, মানুষের ভালোবাসা শিল্পীজীবনের বড় অর্জন। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না।

ববিতা। ফাইল ফটো

একবছর আগের স্মৃতি মনে করে ববিতা বলেন, গতবছর আমার জীবনে বড় একটি ঘটনা ঘটেছিল। গতবছর জন্মদিনে ছেলের কাছে ছিলাম। তারপর কানাডা থেকে ডালাসে গিয়েছিলাম। সেখানকার মেয়র আমাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছিলেন। এই ঘটনাটি সবসময় মনে পড়বে।

একসময়ের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা এফডিসি সম্পর্কে জানতে চাইলে ববিতা বলেন, এফডিসিতে যাই না অনেকদিন। যেতে ইচ্ছে করে না। যতটুকু জানি আমাদের সময়ের ফ্লোরগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ওখানে বহুতল ভবন হবে।

'এফডিসিকে ঘিরে আমাদের কতশত আনন্দের স্মৃতি আছে। কত স্বর্ণালি সিনেমার শুটিংয়ের স্মৃতি আছে', বলেন তিনি।

ববিতার সিনেমায় যাত্রা শুরু ৫০ বছর আগে। রোমান্টিক-সামাজিক থেকে শুরু করে সব ধরনের সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে। ভক্তদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ভক্তরা আজও আমাকে ভালোবাসেন। ভক্তদের ভালোবাসা একজন শিল্পীর জন্য বড় কিছু। ভক্তদের ভালোবাসাকে সম্মান জানাই।

জীবন সম্পর্কে ববিতা বলেন, 'জীবন ভীষণ সুন্দর।'

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Secretariat building no 7

A fire broke out at the Secretariat building number 7 in the capital's Segunbagicha area early today. ..At least 11 firefighting units are working to control the fire. ..According to Prothom ALo, fire service received information about the fire at 1:52am. Firefighters arr

3h ago