মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন ১ বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না: কাদের

মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন ১ বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন আগামী এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

কাদের বলেন, 'মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।'

মেট্রোরেল চলাচল কবে নাগাদ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই সিদ্ধান্তের ওপর আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার সেটা করব। তার সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো কিছু করতে চাই না। তিনি সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন। সব কিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।'

তিনি আরও বলেন, 'এটা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ নয়। তারা কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। রাজনৈতিক মতলবে বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপরে ভর করেছে তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতা অবসানের জন্য। ২০১৮ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি—আজকে ক্ষমতার লিপ্সা তাদের পেয়ে বসেছে।

'এ জন্য আজকে এখন আর তারা গণতন্ত্র মানে না, তারা আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। আজকে কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে পুরোপুরি হিসাব আসেনি। শিশুদেরও কেউ কেউ মারা গেছে। জানালা বন্ধ করতে গিয়ে গুলি লেগে মারা গেছে। রাস্তায় শিশু গুলির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মারা গেছে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago