জাবিতে পুলিশের রাবার বুলেটে সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৩০

পুলিশের টিয়ারশেল-রাবার বুলেটের হাত থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ছবি: আক্লাকুর রহমান আকাশ/স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ছে পুলিশ।

আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল ছোড়া শুরু করে।

পুলিশের রাবার বুলেটের ছররা বুলেটের আঘাতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

জাবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাবার বুলেটবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পরে শহীদ মিনারের এক পাশে শিক্ষার্থী ও অপর পাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। তখন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা ও উত্তেজনা চলছিল।

বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনার এলাকা থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সরে না যাওয়ায় পুলিশ  তাদের ওপর জলকামান থেকে পানি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এরপর শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে আশেপাশে অবস্থান নেয় এবং কিছু শিক্ষার্থী হলের দিকে চলে যায়।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

এতে এক সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন ও অন্তত ৩ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের ওপর গুলি ছুড়ছে। অনেকেই জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। সব দিক দিয়ে পুলিশ, আমাদের বের হওয়ার জায়গা নেই।'
 
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। তখন থেকেই পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়।

 

 
 

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

39m ago