জাহাঙ্গীরনগরে পোষ্য কোটা বাতিল দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা, কর্মচারীদের কর্মবিরতির ডাক

ছবি: স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষ ভর্তিতে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, কর্তৃপক্ষের পোষ্য কোটা নতুন করে পর্যালোচনার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে গতকাল সোমবার রাতে পোষ্য কোটা নিয়ে আলোচনায় বসে জাবি প্রশাসন।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জাবি প্রশাসনের আলোচনায় পোষ্য কোটা নিয়ে কিছু সংশোধন প্রস্তাব আসে। সেগুলো হলো—প্রতি সেশনে সর্বোচ্চ ৪০ জনকে পোষ্য কোটায় ভর্তি, শুধু সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা, একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য জীবনে একবার এ সুবিধা ব্যবহার এবং পাস মার্ক ৪০ করা।

পোষ্য কোটা নতুন করে পর্যালোচনা করতে গত রাতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এম মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জাবি কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কাছে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু, এই সমঝোতা বিশ্ববদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে, কারণ শিক্ষার্থীরা চান পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নিবির ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা এটি বাতিল চাই, মানে হচ্ছে পুরোপুরি বাতিল। আমরা কোনো সংশোধন মানব না।'

এ অবস্থায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আজ দুপুরে শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীর একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পরে, জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সময় চান এবং আজ রাতে তারা পোষ্য কোটা নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান। 

অন্যদিকে, পোষ্য কোটা পর্যালোচনা বাতিলের দাবি জানিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামীকাল সকাল ৯টায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী অফিসের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Why are onion prices rising abruptly?

Onion prices have been increasing over the past weeks, as farmers and traders release fewer stocks to local markets in the hope of better returns amid the government’s suspension of imports

54m ago