গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক-বিভ্রাট, ঘণ্টাখানেক পর স্বাভাবিক

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক-বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ এই সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানান ব্যবহারকারীরা।

তবে ইতোমধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রাহকরা জানান, ওই সময় তারা তাদের অপারেটর থেকে ফোন করতে পারছিলেন না এবং কোনো ফোন আসছিলও না তাদের নম্বরে।

দেশের শীর্ষ এই মোবাইল অপারেটরের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে দেওয়া বিবৃতিতে জানান, 'কারিগরি সমস্যার কারণে কিছু গ্রাহক কল ও ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারে সাময়িক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আমাদের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে সমস্যাটি ইতোমধ্যে সমাধান করেছেন। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা গ্রামীণফোন থেকে কল করতে না পারার কথা জানান।

বেশিরভাগ গ্রাহক বলেছেন, তারা গ্রামীণফোন অপারেটর দিয়ে কল করতে পারছেন না। খুব কম লোকই সেই সময় জানান যে, তারা কল করতে পারছেন।

দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেটওয়ার্ক-বিভ্রাট দেখা গেল দেশের শীর্ষ এই অপারেটরে। এই অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা আট কোটিরও বেশি, যা দেশের মোট গ্রাহকের ৪৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা 'কারিগরি ত্রুটির' কারণে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ করেন।

২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা জানান, তারা অন্য জিপি নম্বরে কল করতে পারছেন না।

সেসময় গ্রামীণফোনের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের 'তিনটি ভিন্ন স্থানে' ফাইবার অপটিক কেবল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই বিঘ্ন ঘটেছে।

সেবার জিপির নেটওয়ার্ক-বিভ্রাট প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

7h ago