পার্লামেন্টে আসন হারালেন যুক্তরাজ্যের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার দুই বছরের মাথায় পার্লামেন্টে তার আসনটি হারিয়েছেন। বিশ্লেষকদের  মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নজিরবিহীন অপমানের শিকার হয়েছেন।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের পর কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন লিজ ট্রাস। মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন লিজ।

লিজের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপন করা খসড়া আর্থিক পরিকল্পনায় পুঁজিবাজারে ধস নামে। বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। যার ফলে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদের প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার অনন্য, কিন্তু অপমানজনক রেকর্ডের অধিকারী হন এই আইনপ্রণেতা।

পরাজয়ের সংবাদ শোনার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি লিজ ট্রাস। তিনি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ছেড়ে যান। এ সময় তিনি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেন।

তবে পরবর্তীতে বিবিসিকে বলেন, 'আমার ধারণা, কনজারভেটিভ দলের পক্ষ থেকে আমরা যে বিষয়টির মুখোমুখি হলাম, তা হল, জনগণের চাওয়াপাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা আমাদের নীতিমালা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছি।'

এই বিষয়ে তার কোনো দায় আছে কী না, এ প্রশ্নের জবাবে লিজ বলেন, 'আমি স্বীকার করি। আমি এর অংশ ছিলাম। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।'

রাজনীতিতে থাকবেন কী না, এ প্রশ্নের জবাবে লিজ বলেন, 'আমাকে অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হবে।'

পরাজয়ের সংবাদ শোনার পর লিজ ট্রাস অভিব্যক্তিহীন থাকার চেষ্টা করেন। ছবি: সংগৃহীত
পরাজয়ের সংবাদ শোনার পর লিজ ট্রাস অভিব্যক্তিহীন থাকার চেষ্টা করেন। ছবি: সংগৃহীত

নরফোক সাউথ ওয়েস্ট আসনে লেবার পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী টেরি জেরমির চেয়ে ৬৩০ ভোট কম পান তিনি। তিনি মোট ১১ হাজার ২১৭ ভোট পান। টেরি পান ১১ হাজার ৮৪৭ ভোট। ২০১৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার সময়য় ২৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন লিজ।

লিজ ট্রাস যে আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন, তা 'টোরি দলের' ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এরকম নিরাপদ আসন থেকেও তার পরাজয় অবিশ্বাস্য। ১৯৯৭ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পরটিলোর পরাজয়ের সঙ্গে লিজের নিয়তির তুলনা করছেন তারা।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ঋষি সুনাক লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত শাসনামল থেকে কনজারভেটিভ পার্টিকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেছেন। তা সত্ত্বেও, ২০১০ সাল থেকে লিজ ট্রাস এই আসনে দলটির প্রতিনিধিত্ব করে আসছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, লিজের এই পরাজয় কনজারভেটিভ পার্টির সার্বিক ভগ্নদশা ও নজিরবিহীন ধসের প্রতিফলন। কেউ বলছেন, জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকে পুরোপুরি নাকচ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Thailand sees growing influx of patients from Bangladesh

Bangladeshi patients searching for better healthcare than that available at home are increasingly travelling to Thailand instead of India as the neighbouring country is limiting visa issuances for Bangladeshi nationals.

13h ago