১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হবে: নসরুল হামিদ

১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আগামী ১৫ জুলাইয়ের দিকে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানি সাশ্রয় এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, 'আমাদের অনেক কাজ বাকি। আমরা এবার দেখতে পাচ্ছি, ঝড়-বাদলের সময় প্রচুর জায়গায় বিদ্যুতের লাইন পড়ে গেছে। গত ঝড়ে আমাদের একটি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় এক মাস যাবত আমাদের কাজ চলছে। এটা হয়তো আগামী ১৪-১৫ তারিখের দিকে আসবে। ঝড়ে প্রায় ৩০ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি নষ্ট হয়ে গেছে।'

তিনি বলেন, 'অতি বৃষ্টি-বন্যার কারণে সিলেট অঞ্চলে অধিকার উপকেন্দ্র পানির নিচে চলে যাচ্ছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি নামলে আমাদের কাজ করতে হবে। সারা দেশে আমরা অতি বৃষ্টি দেখছি, আমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে যদি বড় বন্যা হয় তাহলে আমাদের কী প্রস্তুতি থাকা দরকার।'

নসরুল হামিদ বলেন, 'গত এক মাস বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। ভবিষ্যতে যাতে আরও কমিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে জন্য এই বাজেটের বেশির ভাগ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশের মতো ৭০০ নদীর দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছর লেগে থাকে। সেখানে বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর আমাদের মতো দেশে, এখানে অর্থের ঘাটতি থাকে সব সময়। সেই জায়গায় রাত-দিন কাজ করাটাই অসম্ভব হয়ে যায়।

'এখন পরিস্থিতি আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আশাবাদী ১৫-১৬ তারিখের দিকে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ আগের থেকে ভালো হবে। ইতোমধ্যে আমাদের পায়রা (বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম) শুরু হয়ে গেছে, আবার বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে। আদানিও বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago