এলপিএল

দ্রুত সাজঘরে হৃদয়, অভিষেকে ভীষণ খরুচে মোস্তাফিজ

ছবি: এএফপি

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) শুরুটা একদমই ভালো হলো না বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও মোস্তাফিজুর রহমানের। ব্যাটিংয়ে হৃদয় সাজঘরে ফিরলেন দ্রুত। পরে মোস্তাফিজ করলেন ভীষণ খরুচে বোলিং। দুজনের ব্যর্থতার রাতে তাদের দল ডাম্বুলা সিক্সার্সও উড়ে গেল ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের কাছে।

সোমবার পাল্লেকেলেতে এলপিএলের পঞ্চম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। সেখানে ৬ উইকেটের অনায়াস জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ক্যান্ডি। আগের আসরের রানার্সআপ ডাম্বুলার ছুঁড়ে দেওয়া ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ১৬ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় তারা।

আগেরবার জাফনা কিংসের জার্সিতে খেলা হৃদয় এবার নাম লিখিয়েছেন ডাম্বুলায়। তবে শ্রীলঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় তার দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণের শুরুটা জুতসই হয়নি। ২ বল খেলে ১ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি ব্যাটার। রিভিউ নিয়ে তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন দাসুন শানাকা। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো এলপিএলে খেলতে গেছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। কিন্তু তার অভিষেক ম্যাচ ছিল দুঃস্বপ্নের চাদরে মোড়ানো। ৩ ওভারে ১ উইকেট নিলেও ৪৪ রান দেন তিনি। অথচ এমন ভোগান্তির আভাস ছিল না শুরুতে।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে গিয়ে প্রথম বলেই ক্যান্ডির মোহাম্মদ হারিসকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে ওঠে স্রেফ ৫ রান। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তার ওপর চড়াও হন দিনেশ চান্দিমাল। একটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন তিনি। সব মিলিয়ে আসে ১৬ রান। মোস্তাফিজের ওপর সবচেয়ে বড় ঝড়টা যায় ১৬তম ওভারে। এলপিএল এবার চালু হওয়া পাওয়ার ব্লাস্টের প্রথম ওভারে আক্রমণে ফিরে শানাকা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের তাণ্ডবের শিকার হন তিনি। এতে তিনটি ছক্কা ও একটি চার হজম করাসহ ২৩ রান দিয়ে বসেন।

মোস্তাফিজের ওই ওভারের আগে ৩০ বলে ৪৭ রান লাগত ক্যান্ডির। পরে সেই সমীকরণ নেমে আসে ২৪ বলে ২৪ রানে। ক্রিজে ছন্দে থাকা দুই ব্যাটার দ্রুতই তা মিলিয়ে ফেলেন। শানাকা ১৫ বলে ৪৬ ও ম্যাথিউস ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাদের আগে এক প্রান্ত আগলে ক্যান্ডিকে টানেন ওপেনার চান্দিমাল। তিনি খেলেন ৪০ বলে ৬৫ রানের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচসেরা শানাকার তোপের মুখে পড়ে ডাম্বুলা। পঞ্চম ওভারে ২৫ রানে তারা হারায় ৪ উইকেট। সেই বিপর্যয় সামলে ১৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান ও চামিন্দু বিক্রমাসিংহে। চ্যাপম্যান ৬১ বলে ৯১ ও বিক্রমাসিংহে ৪২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকলেও তাদের চেষ্টা পরে পর্যাপ্ত হয়নি। শানাকা ৩ উইকেট পান ২০ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

55m ago