মোস্তাফিজকে ধরে রাখল না চেন্নাই

Mustafizur Rahman

আইপিএলের গত আসরে মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে। তবে প্রতিযোগিতাটির মেগা নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ছেড়ে দিল বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে।

ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সময় বেঁধে দিয়েছিল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর চেন্নাই প্রকাশ করে ধরে রাখা খেলোয়াড়দের নাম। সেখানেই নেই কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ।

আইপিএলের গত আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন মোস্তাফিজ। নিলামে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছিল চেন্নাই। শুরুতে অবিক্রীত থাকলেও এক্সিলারেটেড রাউন্ড থেকে তার জন্য বিড করেছিল দলটি। অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ না দেখানোয় ভিত্তিমূল্যেই তাকে পেয়ে যায় তারা।

পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে গতবার ৯ ম্যাচ খেলেন মোস্তাফিজ। শিকার করেছিলেন ১৪ উইকেট। তবে তিনি ওভারপ্রতি গড়ে ৯.২৬ করে রান দিয়েছিলেন।

তালিকায় যে পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগামী আইপিএলে ভারতের সাবেক অধিনায়কের খেলা নিয়ে যে সংশয় ছিল, তা কেটে গেছে। অবশ্য মাত্র ৪ কোটি রুপিতে তাকে ধরে রাখতে পেরেছে চেন্নাই। কারণ, তাকে বিবেচনা করা হয়েছে 'আনক্যাপড' বা অভিষেক না হওয়া খেলোয়াড় হিসেবে।

আইপিএলে কেবল ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই বিশেষ নিয়মটি প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ খেলার বা বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শেষবার থাকার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে সেই ক্রিকেটারকে 'অ্যানক্যাপড' হিসেবে ধরা হয়। ধোনি ভারতের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।

২০০৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএল যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন থেকেই এই নিয়ম চালু ছিল। ২০২১ সালে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এবার নিয়মটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

৪৩ বছর বয়সী ধোনির পাশাপাশি চেন্নাই ধরে রেখেছে টপ অর্ডার ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি রুপি), পেসার মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি রুপি), অলরাউন্ডার শিবাম দুবে (১২ কোটি রুপি) ও রবীন্দ্র জাদেজাকে (১৮ কোটি রুপি)।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago