ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি, গণনায় এগিয়ে মাসুদ পেজেশকিয়ান

তেহরানের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন এক নারী। ছবি: রয়টার্স

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানিরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে শুরু করেছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাত্র চার প্রার্থী।

গতকাল শুক্রবার দেশটিতে স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা জানায়, এ নির্বাচনে ভোটাররা উপস্থিতি ছিল রেকর্ডসংখ্যক কম।

আজ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪০ শতাংশ ভোটার।

১৯৭৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি ছিল এ নির্বাচনে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, ২৪.৫ মিলিয়ন ব্যালট গণনায় দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাইদ জালিলি।

সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ১০.৪ মিলিয়নের বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯.৪ মিলিয়ন ভোট।

পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ৩.৩ মিলিয়ন ভোট। ইসলামিক নেতা মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি ২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে সাইদ জালিলিকে সমর্থন দিচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

এ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্তের কাজটি করেছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তিন রক্ষণশীল প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদির পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পান সংস্কারপন্থী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।

এর আগে তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি ও রাইসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির-হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনের সব প্রার্থীই ছিলেন রক্ষণশীল।

১৯৯৭ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন মাসুদ পেজেশকিয়ানের। তিনি এর আগে মধ্যপন্থী হাসান রুহানিকেও সমর্থন করেছিলেন, যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর পশ্চিমের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি সাক্ষরের উদ্যোগ নেন। তবে তিন বছর পর চুক্তির আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়, যা এখনো চলছে।

পেজেশকিয়ান পারমাণবিক চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে পশ্চিমের কাছ থেকে আসা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিক করতে চান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago