ঘূর্ণিঝড় রিমাল

বাগেরহাটে ৪০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, মেরামত শুরু হয়নি এক মাসেও

গত ২৭ মে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা রাস্তার বিটুমিন এবং কাঁচা রাস্তার ইট ও মাটি ধুয়ে সড়কগুলো যানবাহন ও পথচারীদের জন্য চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের অনেক সড়কের বেহাল অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাট জেলার ৪০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, সেতু ও কালভার্টসহ ১২০টি অন্যান্য স্থাপনা বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানিয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু ও কালভার্টগুলোর জরুরি মেরামতের প্রয়োজন হলেও গত এক মাসে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

ছবি: সংগৃহীত

গত ২৭ মে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা রাস্তার বিটুমিন এবং কাঁচা রাস্তার ইট ও মাটি ধুয়ে সড়কগুলো যানবাহন ও পথচারীদের জন্য চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তার ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও কালভার্টগুলো মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক জায়গায় স্থানীয়রা বাঁশের অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করে চলাচল করছে।

ছবি: সংগৃহীত

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাহারবুনিয়া ইউনিয়নের ঘোষিয়াখালী এলাকার প্রধান সড়কটি কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে। 

ঘোষিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা সত্তার শেখ বলেন, 'দুর্যোগের এক মাস পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি টাকার অংকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।'

'মোরেলগঞ্জ উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু কাঁচা সড়ক সাময়িকভাবে মাটি দিয়ে মেরামত শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর বড় ধরনের মেরামত নতুন বাজেট বরাদ্দ এলে শুরু হবে', বলেন তিনি।

Comments