লোকসভার স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে মনোনয়ন দিয়েছে মোদি সরকার

১৭তম লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে আবারও মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপি। ছবি: স্টেটসম্যান
১৭তম লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে আবারও মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপি। ছবি: স্টেটসম্যান

বেশ কয়েকদিনের অনিশ্চয়তার পর আবারও লোকসভার স্পিকার পদের জন্য ওম বিড়লাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সর্বশেষ লোকসভার স্পিকারও তিনিই ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সূত্ররা জানিয়েছে, আজ ভারতের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিড়লা।  

বিরোধীদল ইন্ডিয়া জোট কে সুরেশকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে মনোনয়ন দিয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্পিকার পদের জন্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লোকসভার সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে স্পিকার নির্বাচন করা হয়।   

২০১৪ ও ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে স্পিকার পদে বিজেপি মনোনীত সুমিত্র মহাজন ও ওম বিড়লাকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি। দুইজনই বিনা বাধায় স্পিকার নির্বাচিত হন।

তবে এবারের লোকসভায় বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে, যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২ আসন থেকে কম। সরকার গঠনের জন্য নীতীশ কুমারের জেডিইউ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। 

তবে বিরোধীদল বলেছে, ডেপুটি স্পিকারের পদটি তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হলে তারা এনডিএ'র পছন্দের স্পিকারকে মেনে নেবে।

সূত্ররা জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এ বিষয়টি জ্যেষ্ঠ্য বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন।

আজ সকালে লোকসভার চলতি অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন ওম বিড়লা।  

বিজেপির দীর্ঘদিনের একনিষ্ঠ কর্মী ওম বিড়লা। ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। পরপর দুইবার বিজেপির টিকিটে রাজস্থানের কোটা-বুন্দি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালে ১৭তম লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে স্পিকার নির্বাচিত হন বিড়লা। তিনিই ছিলেন রাজস্থান থেকে আসা প্রথম স্পিকার। অনেক বিশ্লেষক তার মনোনয়নে বিস্মিত হলেও পরবর্তীতে তিনি তার পদে দক্ষতা দেখিয়ে সবার প্রশংসা কুড়ান।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

5h ago