বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিকেল ৩টায় রাজ্যসভায় বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি স্বপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) বিবৃতি দেবেন।

আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে।

পরবর্তীতে বিকেল চারটায় নিম্নকক্ষ লোকসভাতেও তিনি বিবৃতি দেবেন।

আজ সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের আহ্বানে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে ব্রিফিং দেওয়ার পর এবার পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বক্তব্য রাখবেন জয়শঙ্কর।

তিনি জানান, সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পেরেছে নয়াদিল্লি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জয়শঙ্কর জানান, 'আজ বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পার্লামেন্টের একটি সর্বদলীয় বৈঠকে ব্রিফিং দিয়েছি। সবাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের অবস্থানের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন।'

সর্বদলীয় বৈঠকে এই বৈঠকে জয়শঙ্করের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং বিরোধীদলের পার্লামেন্ট সদস্য রাহুল গান্ধী, কেসি ভেনুগোপাল ও সুপ্রিয়া সুলেসহ অন্যান্যরা যোগ দেন।

রাজ্যসভার কার্যতালিকায় জয়শঙ্করের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিরোধীদল কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা মণীষ তিওয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারকে আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মণীষ বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে 'সংবেদনশীল' বলে অভিহিত করেন।

'এটি একটি গুরুতর পরিস্থিতি, যা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। আমি আশা করব, এ বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং সরকার এই আলোচনা আয়োজনের দায়িত্ব নেবে', যোগ করেন তিনি।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেও আলাদা করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর।

সোমবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি লকহিড সি১৩০জে হারকিউলিস উড়োজাহাজে চেপে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

বিকেল ৫টা বেজে ৩৫ মিনিটে উত্তর প্রদেশের গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণের পর সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।

হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর রাতেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব পিকে মিশ্র,  রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) প্রধান রবি সিন্‌হা এবং গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি) পরিচালক তপন ডেকা।

ভারতের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতে থাকবেন না। তাকে সাময়িকভাবে ভারতের অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে যথোপযুক্ত লজিসটিক সহায়তা পাবেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হাসিনাকে নিয়ে আসা উড়োজাহাজটি ইতোমধ্যে ঢাকায় ফিরে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
CSA to be repealed

Govt will scrap CSA within a week

The Cyber Security Act will be repealed within a week and all cases filed under the act will be withdrawn, Nahid Islam, adviser to the posts, telecommunications, and information technology ministry, said yesterday.

15m ago