আমার শহর কি ছিনতাই হয়ে গেছে
আপনি কি ফেরত যেতে চাইবেন সেই অত্যাশ্চর্য শহরে যেখানে এক পয়সায় একটা বাকরখানি ও বারো আনায় একশ' ডিম পাওয়া যেত, এক টাকার বাজার করলে ঝাঁকা উপচে পড়ত? না, আমি চাই না। চাইব না। আমি জানি আপনিও চাইবেন না। অনেক কষ্টে ওখান থেকে এখানে এসেছি, বেড়াতে যেতে চাইতে পারি, ফেরত যাবো না, ভয় আছে ফেরত গেলে আর উঠে আসতে পারব না, নবদ্বীপ বসাক লেন কিংবা আবদুল আজিজ লেনের ঐতিহ্যবাহী অন্ধকার বন্ধুর মতো জাপটে ধরবে, আসতে দেবে না। সেবার পেরেছিলাম, এবার হয়তো পারব না, ওখানেই রয়ে যাব। দুর্বিষহ।
আমার প্রয়াত সহপাঠী আবিদ হুসেন বিলেতে থাকতো, চার দশক আগে বলেছিল কথাটা। 'দোস্ত, পুরান ঢাকাতে কি মানুষ থাকে না? যাকে জিজ্ঞেস করি সেই বলে ধানমন্ডি, নয়তো গুলশান। হলো কী?' আজ জীবিত থাকলে আবিদ কী বলতো কে জানে। কী হয়েছে, জানি আমরা। চলে এসেছি, যারা পারেনি তারাই পড়ে রয়েছে, নিতান্ত বাধ্য হয়ে। পারলে আমরা দূরে যাই, বিদেশে, আরও বড় শহরে। আমাকে বলছেন ফেরত যেতে!
স্মৃতি সতত সুখকর, এবং সুখময়। চালুনির মতো, ভাঙাগুলো ফেলে দেয়, আস্তগুলো ধরে রাখে। নইলে ছাপ্পান্ন বছর আগের ঢাকা শহর বাস্তবে মোটেই রোমান্টিক ছিল না, ধারেকাছে নয়। ছাদপেটার গানই বলুন, কিংবা কাওয়ালি, অথবা হিজড়েদের নৃত্য-তাতে উচ্চ সাংস্কৃতিক মানের পরিচয় মেলে না। ঘোড়ার গাড়িতে বন্ধদশায় চলাচলের বিরুদ্ধে বলার জন্য বেগম রোকেয়ার দরকার হবে না, যে কেউ বলবে। আমাদের মেয়েরা, গৃহিণীরা কেউ রাজি হবে না। আমার মা-ও নন। বলবেন, আবারও?
কবি নবীন সেন অতিশয় নোংরা এক শহর দেখে গেছেন ঢাকায় এসে। বীভৎস। মাইকেল মধুসূদনও খুশি হননি। অনেক পরের মানুষ আবু জাফর শামসুদ্দীন, তিনিও উৎফুল্ল ছিলেন না, যখন ঢাকায় ছিলেন, কিশোরকালে। বুদ্ধদেব বসু? হ্যাঁ, কিন্তু সে ঢাকা তো ঢাকা নয়, যে কোনো শহর। নোয়াখালী হতে পারতো, রাজশাহী হলেও অসুবিধে নেই। সে থাকে মনের ভেতর, বন্ধুদের সান্নিধ্যে, বইপত্রের বাৎসল্যে, রয়েছে অনুভবে, কল্পনায়, তাকে বাস্তবে খুঁজতে নেই। হ্যাঁ, এক পয়সায় বাকরখানি পাওয়া যেত ঠিকই, কিন্তু ওই এক পয়সা জোটানোও কঠিন ছিল অনেকের পক্ষে; ডিম অনেকেই খেত না। দুর্লভ ছিল।
আমি ঢাকারই ছেলে। বাবার সাথে মফস্বলে ঘুরে-ফিরে কলকাতা হয়ে ঢাকায় এসেছিলাম একদিন। সেই বাল্যকালে। না, রোমাঞ্চিত হইনি মোটেই। বড় স্তিমিত মনে হয়েছিল এই শহরকে, ধুলোয় আকীর্ণ। মশা ডেকেছে, বাতি জ্বলেনি। বাসা পাওয়া যায়নি। আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছিলাম। তবু কপাল ভালো আমাদের, সে বাড়িতে বড় দু'টো কামরা ছিল, খোলামেলা একটা উঠান ছিল। অনেকে অতটুকুও পাননি।
নদীর ওই পাড়ে বাড়ি আমাদের। পিতৃপুরুষের। কিন্তু আমার পিতাকে শুনিনি আগে কখনো ঢাকায় এসেছেন বলতে। না, আসেননি। আসতেন না। তারা যেতেন কলকাতায়। স্টিমারে চেপে, ট্রেনে চড়ে। চাকরি বলুন, ব্যবসায় বলুন, কিংবা লেখাপড়া—সবই তো কলকাতায়, সেখানে মেসে থাকা যায়, আত্মীয়স্বজন সাহায্য ও আশ্রয় দেয়। ঢাকায় কে আসে তখন? আসার রাস্তাও ছিল না। চারদিকে পানি তার। লঞ্চ পর্যন্ত ছিল না, ছিল গয়নার নৌকা। একবারই চেপেছিলাম তাতে আমি, কাকার সঙ্গে, দেখবার জন্য। ওই দেখাই শেষ দেখা আমার, দ্বিতীয়বার ওমুখো হবার সাহস হয়নি। ভয়ঙ্কর। ওসব স্মৃতি রোমাঞ্চিত করে না। মানবিক প্রত্নতত্ত্ব মানবিক নয়, অধিকাংশ সময়ে।
কী ছিল ঢাকা শহরে যা নিয়ে বুক ফুলানো যেতে পারে? আহসান মঞ্জিল? সে তো আমার নয়।
রেসকোর্সের মাঠ? সে তো গরিব মানুষকে ফতুর করার বড়লোকী ষড়যন্ত্র। জন্মাষ্টমীর মিছিল? যেটুকু বুঝেছি, সে তো স্থূলতার চলমানতা। থিয়েটার? ভদ্রলোকেরা যেতেন না। ভদ্রলোকেরা ছিলেন অবশ্যই। শিক্ষাজীবন ছিল একটা। কিন্তু আদি বাসিন্দা যাঁরা, খান্দান, বাকরখানি ও শামি কাবাবের সনাতন সেবক তাদের জন্য নয়, অন্যদের জন্য। অন্যরা ছিলেন, চাকরি-বাকরি করতেন, ব্যবসা-বাণিজ্য কিছু কিছু ছিল। আর ছিলেন পেশাজীবীরা; শিক্ষক, চিকিৎসক, উকিল-মোক্তারেরা। তাঁরা বাড়ি করেছেন। থেকেছেন। কিন্তু আলো দিয়ে উজ্জ্বল করে তুলতে পারেননি এই শহরকে। হারিকেনের টিমটিমে বাতি দাঁড়িয়েছিল আদিম অন্ধকারের পথে পথে সঞ্চয় সম্মুখ যাত্রা বিপক্ষে। তাতে অন্ধকার দূর হয়নি, পড়ার টেবিলটা কিছুটা উজ্জ্বল হয়েছে শুধু। সঙ্গে বিপক্ষে চলতে হয়েছে তাকে, ওই হারিকেনকে। অন্ধকার অন্ধকারই রয়ে গেল। বিশাল ও বিপুল।
চুয়াত্তর বছর আগে বিজলি বাতি তেমন ছিল না। ওই হারিকেনই সম্বল ছিল। অথবা আরও জনপ্রিয় সেই কুপি। ঢাকার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে জাদুঘরে সোমিনার হচ্ছে, তাতে বক্তাদের একজন সুন্দর কথা বলেছেন। তখন লোকে ভয় পেত রাত নয়টায় রাস্তা ফাঁকা হয়ে যেত দেখে, এখন ভয় পায় লোকের আধিক্য দেখে। ওই ভয়টাই সত্য, আর সব মিথ্যা। ঢাকা হচ্ছে সন্ত্রস্ত শহর, তখনো ছিল, এখনো আছে। নাগরিক জীবনের প্রধান গুণই হচ্ছে অবাধে চলাফেরা করার সুযোগ ও স্বাধীনতা।
ঢাকাতে সেটা নেই। একসময়ে মুড়ির টিনের বাস ছিল, এখন দোতলা বাস এসেছে কিছু কিছু, মেট্রোরেল এসেছে, কিন্তু ওই যে ঢাকা দৌড় দিয়েছে নানা দিকে, আদতে দক্ষিণপন্থি এই শহর; কিন্তু উত্তর দিকে সে ছুটেছে, পৌঁছে গেছে উত্তরায় এবং তারও পরে। সেসব জায়গা থেকে আপনি যে সদরঘাটে একটানা, নির্বিঘ্নে ও অল্প সময়ে পৌঁছবেন তার কোনো ব্যবস্থাই নেই। জনসংখ্যায় এই শহর পৃথিবীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কিন্তু যানবাহনে? এতো রিকশা কোনো শহরে পাবেন আপনি? কিন্তু তবু ভাগ্যিস রিকশা ছিল, নইলে কীসে যাতায়াত করতেন? উন্নতি? হ্যাঁ, ওইটুকুই, ঘোড়ার গাড়ির বদলে রিকশা। আগে ঘোড়ায় টানত, এখন মানুষে টানে। মানুষের দাম কমেছে কি বেড়েছে, হিসাব করুন। পঞ্চাশের দশকের শেষে ষাটের দশকের শুরুতে আমার বন্ধু মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ 'পূবালী' নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন, তাতে 'ঢাকায় থাকি' নামে কটুকাটব্যের একটি লেখা লিখতাম, লেখকের নাম ছিল নাগরিক।
'পূবালী' নামের পত্রিকায় নাগরিকের অভ্যুদয়-ব্যাপারটায় অসঙ্গতি ছিল এবং সেই সময়ে তরুণ লেখকদের একটি গোষ্ঠী, যারা বিদ্রোহী ছিল কীসের বিরুদ্ধে ঠিক মনে নেই, তবে 'পূবালীর' নাগরিক সম্বন্ধে তাদের একজন মন্তব্য করেছিল যে, এর পা-ভরা ধান ক্ষেতের এঁটেল মাটির উৎপাত সেটা মনে আছে। বড় সঙ্গত মনে হয়েছিল সেই মন্তব্য। তবে বললে ঠিক হতো যে, মাটিটা ধান ক্ষেতের নয়, নর্দমার। এখনো সেই নোংরা কাদাই আমাদের পায়ে, রেহাই পাবো কী করে?
এখনো, এই যে এতদিন চলে গেল, সময় বহিয়া গেল, স্বাধীন হবার মাশাল্লাহ পার হলাম পাঁচ দশক, এখনো নিশ্চিত নই আমি নাগরিক হয়েছি কি হইনি এই বিষয়ে। ঢাকার নগর কোথায়? গ্রাম রয়েছে কতকগুলো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন, স্তিমিত, অপরিকল্পিত। বাতি জ্বলে না নিয়মিত, না রাস্তায়, না মনের ভেতরে। মশামাছি ভিক্ষুকদের ছাড়িয়ে যায়-ঘ্যানঘ্যানানোতে। ভিক্ষা নয়, রক্ত চায়। দুর্গন্ধ স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে যেখানে-সেখানে, আবর্জনার আকারে। পানি আসে না, রাস্তা নেই; নিষ্কাশন তথৈবচ। আর নিরাপত্তা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ এখন। এই শহরের বর্তমান নারকীয়, ভবিষ্যৎ আরও বেশি। তাই বুঝি অতীতকে সাজাতে হয় সুন্দর করে। মনোহর রূপে। কিন্তু সাজানো বড় কঠিন ভাই, যাই বলুন। নিরাপত্তার সূত্র ধরে বলতে হয়, কোথায় আমাদের নাগরিক অধিকার?
বাকস্বাধীনতা? চলাফেরার অবাধ সুযোগ? বিশেষ করে মেয়েদের? বেঢপ এক শহর বেড়ে উঠেছে, পাগলের প্রলাপের মতো। সেই যে কিশোর বয়সে শাঁখারিবাজারের গলি পার হতে আমার গা কাঁটা দিয়ে উঠত, পার হতে নয় কেবল, কল্পনা করতেও, তেমনি গলি তো দেখছি এখন নতুন শহরে। নাখালপাড়ায়, রায়েরবাজারে, রামপুরায়। ঢুকলে মনে হয় অন্তহীন, যেন প্রাগৈতিহাসিক কোনো প্রাণির পাকস্থলীর অভ্যন্তর দিয়ে চলেছি, ফিরে আসতে পারব না, যদি না সে আপনা থেকে উগরে দেয়। গরিব নয়, মধ্যবিত্তের বসবাস, কিন্তু কেবলই গলি, মস্ত গলি, গলির পরে গলি, সাপের মতো চলেছে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে। মাঠ নেই, পার্ক নেই, ঘর থেকে বের হলেই রাস্তা, যানবাহন, মানুষ, ঠেলছে, ফেলে দিচ্ছে। দাঁড়াবার জায়গা নেই। ছেলেরা তবু বের হতে পারে, মেয়েরা?
ডক্টর জনসনের যেমন লন্ডন আমার তেমন ঢাকা—এমন একটি আন্তরিক অবস্থান কাউকে কাউকে নিতে দেখেছি আমি, কখনো কখনো। বড় কষ্ট হয়েছে দেখে। কেননা ঢাকা তো লন্ডন নয়, হবে না কখনো। এমনকি কলকাতাও নয়। কলকাতা শহর ডুবে যাচ্ছে—বলেন কেউ কেউ। ইংরেজি দৈনিকে পত্র লিখে একজন পাঠক জানিয়েছিলেন ওই খবর, ওই ডোবার খবর। আরেকজন দেখি মৃদুস্বরে ধমকে দিয়েছেন তাকে। কলকাতা কলকাতাই। বৈচিত্র্যের শহর। সেখানে সবকিছু পাবেন আপনি, যা চান। যতই ডুবুক ওটুকু থাকবে তার। বৈচিত্র্যটি অবশ্যই সত্য। আর ওইখানে সে লন্ডনের মতোই। ছোটখাটো লন্ডন একটি, ইংরেজরা সেভাবেই গড়ে তুলেছিল তাকে। লন্ডন ছেড়ে এসে লন্ডনে থাকতে চেয়েছে। লন্ডনের চেয়ে বড় শহর আপনি পাবেন, কিন্তু অমন বৈচিত্র্য পাবেন না।
আপনার রুচি যাই হোক, চরিতার্থ করবার সুবর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে। স্থূলতর আনন্দে অভিলাষী? দরজা খোলা। লন্ডন আশ্রয় দিয়েছে শ্রেষ্ঠ বিপ্লবীদের, নিকৃষ্ট অপরাধীদেরও। আমাদের ঢাকায় ওসব বৈচিত্র্য পথে পথে সঞ্চয় সম্মুখ যাত্রা নেই। এ শহর একপেশে। শরীরে বেড়েছে, মনে বাড়েনি, স্বাস্থ্যেও নয়।
ঢাকা এখন ঢাকাইয়াদের নয়, নাগরিকদেরও নয়; তবে কার? আমার বীতশ্রদ্ধ বন্ধু বলেন, মগের। আমি জবাব দিতে পারি না। তাকিয়ে থাকি বোকার মতো। ঢাকা কিন্তু বোকাদের পছন্দ করে না। কোনো নগরই তা পছন্দ করে না। কিন্তু ঢাকার অপছন্দটা উগ্র, তীব্র, অভদ্র। এ শহরের রসিকতার লক্ষ্যবস্তু ছিল বোকারাই। এখনো তাই। প্রথমে বোকা বানায়, পরে জব্দ করে।
ঢাকা বাংলাদেশ নয়। অনেকে তাই মনে করেন। কারণ আছে মনে করবার। ঢাকার সমান আর কোনো শহর নেই এদেশে। সারাদেশের আলো কেড়ে নিয়ে উজ্জ্বল হয়েছে সে। সরকারি দৃষ্টিভঙ্গিটা হচ্ছে এ রকম যে, ঢাকাই হলো বাংলাদেশ। ঢাকাকে তাই বাঁচানো চাই। স্রোতের মতো মানুষ আসছে চলে। বাঁধ দিতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু এ যুগে তা পারা যাবে না। মানুষের স্রোত বিপজ্জনক। বন্যার স্রোতও কম নয়, যে জন্য শহরের চারদিকে বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ডোবে যদি ডুবুক, ঢাকা বাঁচুক, ঢাকা ডুবলে বাঁচবে কে? শাসকশ্রেণির বক্তব্য এক, ঢাকাকে, বাংলাদেশকে নয়, যদিও আসছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়।
বাঁচানো চাই কিন্তু ঢাকা বড়ই নিরাপস এই ব্যাপারে। আলাদা করে দিচ্ছে ভাইকে ভাই থেকে, বোনকে পর করছে বোনের থেকে। ভাঙছে, কিন্তু গড়ছে না। ঢাকা নদী নয়। ঢাকা বুলডোজার, নিদেনপক্ষে হাতুড়ি। সারা বাংলাদেশের যে অরাজকতা ও হতাশা, তাও ঢাকায় পাবেন, তাকিয়ে দেখুন। সামন্তবাদী পিছুটান ও ছদ্ম আধ্যাত্মিকতার দৌরাত্ম্য খুঁজতে চান, গ্রামে যাবার দরকার নেই, ঢাকাতেই আছে, হাতের কাছে। অদৃষ্টকে বশে আনার আংটি ও তাবিজে সুশোভিত আধুনিকতার এতো বড় নিদর্শন কি আজকের পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে, যতটা পাবো ঢাকা শহরে? না, ফেরত যাবার প্রশ্ন ওঠে না। আদতে এগিয়েছি কি না তা-ই সন্দেহ, ফেরত যাবো কোন সাহসে? কিংবা দুঃখে?
এই শহর কি ছিনতাই করে নিয়েছে আমার মনুষ্যত্ব? এ প্রশ্নও জাগে বৈকি, মাঝে মাঝে।
Comments