মোদির শপথের সময় রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘রহস্যময়’ প্রাণীর ব্যাপারে যা জানা গেল

রাষ্ট্রপতি ভবনে 'রহস্যময়' প্রাণি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
রাষ্ট্রপতি ভবনে 'রহস্যময়' প্রাণি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

আট হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি অতিথির উপস্থিতিতে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে চলছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও লোকসভার অন্যান্য এমপিদের শপথ গ্রহণ। এ সময় হঠাৎ করেই ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক 'রহস্যময় প্রাণী'।

আজ বুধবার দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, এই রহস্যের সমাধান পাওয়া গেছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজেপির এমপি দুর্গা দাস উইকে তার শপথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুকে সম্ভাষণ জানাচ্ছেন। নেপথ্যে কয়েক মুহূর্তের জন্য একটি বিড়াল সদৃশ প্রাণীকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।

দ্রুত ভাইরাল হয় এই ভিডিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলতে থাকে আলোচনা। 

তবে দিল্লি পুলিশ সব ধরনের জল্পনা কল্পনায় পানি ঢেলে বলেছেন, 'কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও চ্যানেলে গতকাল রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় একটি প্রাণীর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এটি একটি বন্যপ্রাণী।'

দিল্লি পুলিশ এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানায়, 'এটি সত্য নয়। ক্যামেরায় ধারণ করা প্রাণীটি আর কিছুই নয়, একটি সাধারণ পোষা বিড়াল। দয়া করে এ ধরনের মিথ্যা গুজবে কান দেবেন না।'

গতকাল দিনভর এই 'রহস্যময়' প্রাণী নিয়ে সরগরম ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কেউ কেউ প্রাণীটিকে চিতাবাঘ বলে চিহ্নিত করেন। কেউ বলেন এটি কুকুর, কিংবা বিড়াল। 

রাষ্ট্রপতি ভবন ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত সরকারি স্থাপনা। এরকম একটি জায়গায়, এতো গুরুত্বপূর্ণ ও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা অনুষ্ঠানের মাঝে এই প্রাণীর নির্ভীক চলাফেরায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।

ভারতের সংবাদ এজেন্সি পিটিআই দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, রাষ্ট্রপতি কমপ্লেক্সে প্রাণী বলতেও শুধু কুকুর ও 'পোষা' বিড়াল রয়েছে।

বন বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পিটিআই আরও জানায়, রাষ্ট্রপতি ভবনের আশেপাশে কোনো চিতাবাঘের বসবাস নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago