জনতা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করবে অ্যাননটেক্স

জনতা ব্যাংক, অ্যাননটেক্স গ্রুপ, অ্যাননটেক্স গ্রুপের ঋণ, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ,

রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রির অনুমতি পেয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাননটেক্স গ্রুপ।

সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে অ্যাননটেক্স গ্রুপের কাছ থেকে ঋণের মূল অর্থের ৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির কাছে অ্যাননটেক্সের আশুলিয়া ও টঙ্গীতে ৩৮৫ বিঘা জমি বন্ধক রাখা আছে।

জনতা ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অ্যাননটেক্স গ্রুপের ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। 

ব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধ করতে জমি বিক্রি করতে চায় অ্যাননটেক্স।

তবে জমি বিক্রি করে যে অর্থ সংগ্রহ করা হবে, তা সরাসরি জনতা ব্যাংকে থাকা অ্যাননটেক্সের অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ব্যাংকটির শান্তিনগর শাখা থেকে প্রথম ঋণ পায় অ্যাননটেক্স গ্রুপের জুভিনাইল সোয়েটার।

পরে শান্তিনগর শাখার বেশি ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা না থাকায় ২০০৮ সালে ঋণটি জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় স্থানান্তর করা হয়।

গ্রুপটি ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকটির ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। অবশ্য সেই ঋণ আর পরিশোধ করেনি গ্রুপটি।

এরপর গ্রাহক ঋণ পরিশোধ না করায় ও খেলাপি হওয়ায় এককালীন ঋণ পরিশোধের শর্তে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয় জনতা ব্যাংক। এতে মূল অর্থের ৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা পরিশোধের কথা ছিল, যা এখন বেড়ে ৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফের সুবিধা বহাল রাখা এবং গ্রুপটিকে আদায়যোগ্য দায় হিসেবে ৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে অ্যাননটেক্সকে ৩০ মার্চের মধ্যে ৩০ কোটি টাকা জমা দিতে বলেছে ব্যাংকটি। তবে গ্রুপটি এখনো সেই টাকা জমা দিতে পারেনি। বরং তারা আবারও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জনতা ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Ahsan Khan Chowdhury on national budget 2025

Budget falls short on raising industrial competitiveness

The government must prioritise boosting the competitiveness of all industries if it wants to create more jobs, capture a bigger share of global markets, and strengthen the economy.

12h ago