শনিবার শপথ নিতে পারেন মোদি

ভোট গণনা শেষে বিজেপি কার্যালয়ে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স
ভোট গণনা শেষে বিজেপি কার্যালয়ে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স

টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। 

আজ বুধবার এনডিটিভি রাজনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আগামী শনিবার এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ (লোকসভা) ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। একইসঙ্গে ভারতের একাধিক টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ৮ জুন শনিবার শপথ নেবেন মোদি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিতে এবং মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে গেছেন মোদি। 

সাত ধাপের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২৪০ আসনে জয়লাভ করেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির ২৭২ আসন প্রয়োজন ছিল।

তবে দলটি তাদের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের জেতা ৫৩ আসনের ওপর নির্ভর করে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে, ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন।  আজ নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক আয়োজনের কথা রয়েছে।

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতারাও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, কংগ্রেস এককভাবে ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এটি দলটির সবচেয়ে ভালো ফলাফল।

আর দলটির নেতৃত্বাধীন জোট ২৩৪ আসনে জয়ী হয়েছে। তারাও নীতীশ-নাইডুকে কাছে টানার চেষ্টা করতে পারে। নীতীশ-নাইডু যেন এনডিএ জোট থেকে সরে আসেন, তা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা হতে পারে।

নীতীশের বারবার পক্ষ বদলের ইতিহাস আছে। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নাইডু। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান।

বিশ্লেষকদের ধারণা, আজকে দিন শেষেই জানা যাবে বিজেপি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে না কী ভারতবাসীদের জন্য অন্য কোনো চমক অপেক্ষা করছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago