টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘নিজের জন্য’ খেলেন কিনা ব্যাখ্যা দিলেন বাবর

Babar Azam
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট বহুল চর্চার বিষয়। কেন চড়া স্ট্রাইক রেটে খেলেন না, তা নিয়ে পাকিস্তানের সমর্থকদের মনে থাকা হতাশা ফুটে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাকিস্তানের অধিনায়ক নাকি নিজের জন্য খেলেন, কেউ কেউ এই অপবাদও তার গায়ে লাগিয়ে দেন। বাবর এবার জানালেন, নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে নেওয়ার পরই নিজের ব্যাপারকে গৌণ হিসেবে রেখেছেন তিনি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাবর বলেন, 'মানুষজনের মনে হয়- আমার নিজের লক্ষ্য, আমি নিজের জন্য খেলি, দেখুন নিজের জন্য খেললে সবকিছু অন্যরকম হয়ে যাবে। আমার সবসময়ই চিন্তা থাকে, ওই সময় দলের চাহিদা কী। হ্যাঁ, সেখানে কখনো আমি ভুল হই, আমার ভুল হয় যে আমি তা মেনে নিই। কোন ওভারে আমি আরও ভালো করতে পারতাম, এই ওভারে হয়তো আমি কিছুটা ধীরগতিতে খেলেছি- তো এসব বিশ্লেষণ আপনার নিজেরই করা দরকার।'

অধিনায়কত্বে আসার পরই নিজের ব্যাপার আর মুখ্য থাকেনি বাবরের কাছে। পাকিস্তানের তারকা এই ব্যাটার বলেন, 'কখনো আপনি যখন খেলছেন, আপনার সঙ্গে দুজন আউট হয়ে যাচ্ছেন। তখন আপনার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে হয়। অনেক সময় যখন রানরেট কমে আসে, তা আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য নয়। অধিনায়কত্বে আসার পরই আমি আমার নিজের লক্ষ্য পিছনে রেখে এসেছি।'

তবে স্ট্রাইক রেটে উন্নতি যে আনা দরকার, টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে চার হাজারের বেশি রান করা বাবর তা অস্বীকার করেন না। সেজন্য ধীরে ধীরে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি স্ট্রাইক রেটের ক্ষেত্রে। গত এক বছরে এই ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৪২। কুড়ি ওভারের খেলায় যেখানে তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১৩০ এর কাছাকাছি।

কত স্ট্রাইক রেটে খেলতে চান, উন্নতির চেষ্টায় থাকা বাবরের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য কি আছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'কোন সময়েই আপনি সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। আমার ১৫০ স্ট্রাইক রেট, তো আমি এর উপরে যাব না, এটা বলতে পারি না। বা এর নিচে যাব না। অথবা আমার আগে যা ছিল, তা ঠিক ছিল না। ওটা ওই সময়ে ঠিক ছিল। ওই সময় দলের প্রয়োজন ভিন্ন ছিল। এখন আমি অবশ্যই অনুভব করেছি, উন্নতি করা দরকার। তো এটা নিয়ে কাজ করেছি। আমি কোথায় ভুগছি জানি, এটা নিয়ে কাজও করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

14h ago