অনেক সুযোগ পেয়েছে বাবর: শহিদ আফ্রিদি

ছবি: এএফপি

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার রেশ এখনো তরতাজা পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর বড় সার্জারির কথা বলেছিলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটের বড় পদগুলো তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে৷ নানামুখী আলোচনার ভিড়ে অধিনায়কের ভূমিকায় বাবর আজমকে না রাখার পক্ষে মত দিলেন শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন অনেক সুযোগ পেয়েছেন বাবর।

বর্তমানে ইংল্যান্ডে আছেন আফ্রিদি। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ড টুর্নামেন্টে খেলছেন তিনি। সেখানে পাকিস্তানের হয় পাঁচশর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আফ্রিদি বলেছেন, 'আমি এক জিনিসে বিশ্বাস করি। যে সিদ্ধান্ত নিতে চান, সেটি নিয়ে ওই সিস্টেম, কোচ, অধিনায়ককে সময় দিন। আমিও অধিনায়কত্ব করেছি, ইউনুস খান, মিসবাহ উল হক- সবাই অধিনায়কত্ব করেছে। এত বেশি সুযোগ কোন অধিনায়ক পাননি। যে-ই না বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে, অধিনায়কের গলায় ছুরি চালানো হয়েছে।'

'সে (বাবর) ২-৩ বিশ্বকাপ, ২-৩ এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, অনেক সুযোগ মিলেছে তার। আমার মনে হয় অনেক সময় হয়ে গেছে। বড় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন যা সার্জারি করতে চান, সেটা একদিকেই করুন। এবং যাকে নিয়ে আসছেন তাকে পুরো সময় দিন।', যোগ করেন আফ্রিদি।

সবশেষ তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবরের নেতৃত্বে পাকিস্তান খেলেছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন দলটির অধিনায়ক। দুটি এশিয়া কাপে নেতার ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন বাবর। এছাড়া টেস্টেও পাকিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক ম্যাচ।

গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর শাহিন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়। যদিও এক সিরিজ পরই আবার শাহিনের জায়গায় নিয়ে আসা হয় বাবরকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাহিনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সিরিজে পাকিস্তান হারে ৪-১ ব্যবধানে।

বাবরের দল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড পাড়ি দিতে পারেনি। পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি এরপর পাকিস্তানের ক্রিকেটে 'মেজর সার্জারি' হবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচক প্যানেলের দুজন সদস্যকে বরখাস্ত করা ছাড়া আর কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। ওয়াহাব রিয়াজ ও আব্দুর রাজ্জাককে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন আফ্রিদি, 'এই সার্জারি সত্যি বলতে আমি বুঝতে পারিনি। নির্বাচক প্যানেল ছয়-সাতজন লোকের, শুধু এই দুজনের সার্জারি কেন হয়েছে?'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago