শিরোপা জিতে যত কীর্তি রিয়াল ও দলটির কোচ-খেলোয়াড়দের
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারে না রিয়াল মাদ্রিদ— বহুল চর্চিত এই বাক্য আরও একবার সত্য প্রমাণিত হলো। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধের আক্রমণের ঝাপটা সামলে গোলপোস্ট অক্ষত রেখে দ্বিতীয়ার্ধে বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হয়ে ম্যাচ বের করে নিল তারা। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতায় রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জিতে আরও কিছু কীর্তি গড়ল রিয়াল ও তাদের কোচ-ফুটবলাররা।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ২-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন ভেঙে দুই বছর পর ইউরোপের রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে লস ব্লাঙ্কোদের এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। নয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সবশেষ নয় ফাইনালের সবকটিতে জিতল রিয়াল। আর সবশেষ ১১ মৌসুমে এটি তাদের ষষ্ঠ শিরোপা। এবার দেখে নেওয়া যাক রিয়াল ও তাদের কোচ-ফুটবলারদের গড়া কীর্তিগুলো—
* ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতায় (ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) এই প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল। আগের ১৪টি শিরোপা জয়ের পথে অন্তত একটি ম্যাচ হলেও তারা হেরেছিল। এবার ফাইনালসহ খেলা ১৩ ম্যাচের নয়টিতে জিতেছে তারা, ড্র করেছে বাকি চারটিতে। কোনো ম্যাচ না হেরে দ্বাদশ ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উঁচিয়ে ধরল তারা।
* ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালের ডাগআউটে থাকা আনচেলত্তি কোচ হিসেবে জিতলেন রেকর্ড পঞ্চম শিরোপা। কেবল ২০০৪-০৫ মৌসুমের রোমাঞ্চকর ফাইনালে হেরেছিলেন তিনি। সেবার টাইব্রেকারে তার অধীনে থাকা এসি মিলানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। কোচ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে শিরোপা রয়েছে পেপ গার্দিওলা, বব পেইসলি ও জিনেদিন জিদানের। আর খেলোয়াড় থাকাকালীন মিলানের জার্সিতে আরও দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন আনচেলত্তি।
* ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড় হিসেবে এতদিন এককভাবে সবচেয়ে সফল ছিলেন প্রয়াত স্প্যানিশ ফুটবলার পাকো হেন্তো। তিনি রিয়ালের জার্সিতে টানা পাঁচটিসহ মোট ছয়টি শিরোপা জিতেছিলেন। এবার তার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন চারজন— লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুস, দানি কারভাহাল ও অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ।
ক্রোয়েশিয়ান মদ্রিচ এবং দুই স্প্যানিশ কারভাহাল ও নাচো তাদের ছয়টি শিরোপার সবকটি জিতলেন রিয়ালেরই হয়ে। তবে ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নামা জার্মান ক্রুস রিয়ালের পক্ষে স্বাদ নিলেন পঞ্চম শিরোপার। বাকিটি তিনি জিতেছিলেন ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেবার এই ওয়েম্বলিতে ডর্টমুন্ডকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
Comments