যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন নতুন চাকরি খোঁজার সময় হয়ে গেছে

নতুন চাকরি
ছবি: সংগৃহীত

একটি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর অনেক সময় মনে হতে পারে চাকরিটি ঠিক আপনার জন্য নয়। চাকরির পরিবেশ এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারা, টক্সিক পরিবেশ ইত্যাদি কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন অনেকে।

তাই এরকম পরিবেশ থেকে বের হয়ে নিজের আগ্রহ ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খুঁজতে পারেন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ এবং সঠিক মূল্যায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন চাকরিতে ঢোকার আগে অবশ্যই এসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

কীভাবে বুঝবেন আপনার নতুন চাকরি খোঁজার সময় হয়েছে তাই জানব আজ।

কিছুই শিখতে পারছেন না

চাকরির উদ্দেশ্য কি কেবল আর্থিক স্বচ্ছলতা? আর্থিক স্বচ্ছলতা চাকরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলেও এটি ছাড়া আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করা দরকার। যদি কোনো জায়গায় চাকরি করে আপনি কিছু শিখতে না পারেন বা সেখানে যদি নতুন কিছু শেখার পরিবেশ না থাকে, তবে এখান থেকে বের হয়ে আসাই ভালো।

চাকরি আপনাকে প্রতিনিয়ত কিছু শিখিয়ে ভবিষ্যতে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করবে। দীর্ঘদিন কোনো জায়গায় চাকরি করে আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে না পারেন, আপনার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে এবং একঘেয়ে কাজ করতে ভালো লাগবে না। ফলে কাজ করার ইচ্ছা চলে যাবে। তাই যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে নতুন কিছু শেখার পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখান থেকে বের হয়ে নতুন চাকরির সন্ধান করুন।

অফিসের পরিবেশ ভালো লাগছে না

অফিসের পরিবেশ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। টক্সিক কাজের পরিবেশ আপনাকে হতাশ ও বিষণ্ণ করে ফেলতে পারে। তাই এরকম কাজের পরিবেশ থেকে দ্রুত বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে সেখানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া আপনার নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে সহকর্মীদের মিল না পেলে সেই পরিবেশে না থাকাই ভালো। এরকম পরিস্থিতিতে নতুন চাকরির সন্ধানে নেমে পড়ুন।

নিজেকে অদৃশ্য মনে হচ্ছে

কোনো কাজেই আপনাকে যদি যথাযথ মূল্যায়ন না করা হয় তবে সেই পরিবেশে আপনার মনে হতে থাকবে, আপনি যেন অদৃশ্য। এ ধরনের পরিবেশে দীর্ঘদিন কাজ করলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মতো নানা সমস্যা হতে পারে। এরকম কর্মস্থলে প্রশ্ন করার বা শেখার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে আপনার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রশংসা ও অনুপ্রেরণা যেকোনো কাজের গতি বাড়িয়ে দেয় এবং সফলতাকে ত্বরান্বিত করে। কিছু কিছু অফিসে যোগ্যতা ও কাজের মান যাচাই না করে তোষামোদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে ভালো কাজ করার পরেও যথাযথ মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। তাই এরকম জায়গায় বেশি দিন না থাকাই ভালো।

পদোন্নতির কোনো আশা দেখছেন না

যদি আপনি দীর্ঘদিন একটি পদে বা একটি অবস্থানেই আটকে থাকেন তাহলে নতুন চাকরি খোঁজা উচিত। কারণ পদোন্নতির আশা না দেখলে কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবেন না। এরকম কর্মস্থল ধীরে ধীরে আপনাকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। পদোন্নতি না পাওয়ার সঙ্গে আরেকটি সমস্যা হল বেতন না বাড়ানো। যদি আপনার মনে হয় আপনার শ্রম ও কাজের মান অনুযায়ী আপনার বেতন কম, তাহলে দ্রুত নতুন চাকরির সন্ধান করুন।

সারাক্ষণ নিজের কর্মস্থল নিয়ে অভিযোগ করছেন

আপনার সঙ্গে আপনার কর্মস্থল নিয়ে আলোচনা করলে আপনার থেকে নেতিবাচক কথাই কি বেশি শোনা যায়? অফিসের কাজের পরিবেশ, অফিসের লোকজন কাউকে নিয়েই যদি আপনি ইতিবাচক কথা না বলতে পারেন তাহলে বুঝবেন সেই পরিবেশ ধীরে ধীরে আপনাকে হতাশ করে তুলছে।

সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন, আজ আপনার কর্মস্থলে কী কী ঘটেছে? আপনি কি আপনার কর্মস্থল নিয়ে খুশি? যদি আপনি কোনো ভালো বা ইতিবাচক মুহূর্তের কথা না মনে করতে পারেন তবে ধরে নেবেন আপনার এখানে থাকা ঠিক হচ্ছে না। নিজের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে সেই অনুযায়ী নতুন কাজ খুঁজতে থাকুন।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস

 

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser calls for urgent reforms in social services to prioritise senior citizens, girls

Political interference led to unfair distribution of benefits in the past, he says

1h ago