সিলেটে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে ৪ নদী, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

গোয়াইনঘাটের সারিগোয়াইন নদীতে পানি বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট ও উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন ও ডাউকি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার, সারিগোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার ও গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার এবং ডাউকি নদী জাফলংয়ে ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আকস্মিক বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়ক ও গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে উপজেলায় মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, যেসব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে, সেসব এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকানগুলো থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবণ-প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়ন, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন ও চারিকাটা ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

জৈন্তাপুরের ইউএনও উম্মে সালিক রুমাইয়া জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt not taking action following white paper: Economists

The makers of the white paper criticised the government for increasing value-added tax

33m ago