সিদ্ধেশ্বরীতে পানির দাবিতে বিক্ষোভ

সিদ্ধেশ্বরীতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

তাৎক্ষণিক পানি সরবরাহের দাবি জানিয়ে ঢাকা ওয়াসার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বাসিন্দারা।

হাতে খালি বালতি ও ঝাড়ু নিয়ে আজ শনিবার তারা এ বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ৬ দিন ধরে তারা পানি পাচ্ছেন না। এতে করে তাদের ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। বিক্ষোভকালে তারা 'পানি চাই' বলে স্লোগানও দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবিলম্বে পানির সংকটের সমাধান করা না হলে ওয়াসার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলেও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা।

সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরেই সেখানে পানির সংকট চলছে। সর্বশেষ গত বুধবার ওয়াসার কর্মীরা মালিবাগ মোড়ে পানির লাইনে কাজ করার পর থেকে পানি আসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

আব্দুল মান্নান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সারাদিন আমরা পানি পাচ্ছি না। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে।'

বিগত ৭ থেকে ৮ বছরে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এমনকি ওয়াসার পানি বহনকারী ট্রাকও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। যদি আমরা আজ পানি অর্ডার করি, তারা একদিন পরে পানির ট্রাক সরবরাহ করে।'

'অনেকে তাদের অফিসে গোসল করতে বাধ্য করা হচ্ছে... অনেকে পানির অভাবে রান্না করতে না পেরে দোকান থেকে খাবার কিনছেন', বলেন স্থানীয় অপর এক ব্যক্তি।

এ বিষয়ে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (ফকিরাপুল জোন) মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চলমান লোডশেডিং, ভূগর্ভস্থ পানি হ্রাস, হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধি এবং গভীর নলকূপের যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।'

'আমরা সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি... বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে', বলেন তিনি।

ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, 'পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের একটি নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করতে হবে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু, এখনো কোনো জায়গা পাইনি।'

অবিলম্বে কোনো জায়গা না পেলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago