ভারত থেকে গম আমদানিতে সাশ্রয় হবে: খাদ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রাশিয়া থেকে গম আমদানি করা হচ্ছে। তবে, ভারত থেকে গম আমদানি করা সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা বলেন।

বৈঠকে দুই দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।

'বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক' মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে না তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে।'

'ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে,' বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'সরকারের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে পাঁচ ধরনের খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএসের আওতায় চাল-আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করছে।'

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।'

'ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।'

এ সময় হাইকমিশনার বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago