সীমান্ত অপরাধ দমনে যৌথ চেষ্টার আহ্বান ভারতীয় হাইকমিশনারের

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। ছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে সমঝোতা রয়েছে, সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবদিকদের এমন কথা বলেন তিনি।

এ সময়ে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে ভারতের অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, 'এতে দুই দেশের সীমান্তে থাকা প্রতিকূলতাগুলো কার্যকরভাবেই সমাধান হবে।'

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে একটি সমঝোতার কথা উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, 'দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।'

এ ছাড়া সীমান্তে চোরাচালানের সংকট নিরসনের প্রতিকূলতাগুলো নিয়েও কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে সীমান্তে যে উত্তেজনা চলছে, তা নিরসনে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিকেল ৩টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে তাকে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।'

তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় আছে। বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

'উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে এরইমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।'

তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে যেসব অসম সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিলের বিষয়ে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held by year end ‘at the earliest’: Yunus

Chief Adviser Muhammad Yunus has stated that the next general election in Bangladesh could be held at the end of this year at the earliest

1h ago