লোহা মনে করে ৭ দিন ধরে বাড়িতে অবিস্ফোরিত গ্রেনেড

অবিস্ফোরিত গ্রেনেড। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার হিংগুলী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. তানভির হোসেন গত ১২ মে বাড়ির পাশে ড্রেনের পানিতে পুরোনো জং ধরা ও ক্ষয়ে যাওয়া লোহার শক্ত কিছু দেখতে পান।

লোহা মনে করেই কুড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে আনেন সেগুলো। কিন্তু ১৩ মে বাড়ির পাশে কবর খোঁড়ার সময় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় ১০০ বছর পুরানো একটি গ্রেনেড। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম বিভাগের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল পরদিন সেটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। 

সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই খবর দেখে লোহার সেই শক্ত বস্তুর বিষয়ে তানভিরের সন্দেহ হয় এবং টনক নড়ে। বাড়ির মধ্যেই অবিস্ফোরিত গ্রেনেড রেখেছিলেন তিনি। 

পরে শনিবার ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এরপর জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ যায় তার বাসায়। অবিস্ফোরিত সেই গ্রেনেড সংগ্রহ করে হিংগুলী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফের বাড়ি সংলগ্ন খোলা জায়গায় মাটির বস্তা চাপা দিয়ে রেখে খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে।

আজ রোববার বিকেলে সেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করে বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা।

কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. লিয়াকত আলী খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ির পাশে বোমা নিষ্ক্রিয়করণের খবর দেখে তানভিরের সন্দেহ হলে বাসায় গিয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয় এটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড। পরে তা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করি।'

'এটি কোনো কারণে বিস্ফোরিত হয়নি। তবে নাড়াচাড়া করলে বা হাত থেকে পরে গিয়েও বিস্ফোরিত হতে পারত। আগের গ্রেনেডটির সঙ্গে এর মিল আছে,' বলেন তিনি।

এদিকে, রোববার সীতাকুন্ড থানার সৈয়দপুর ইউনিয়নে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরেকটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। স্থানীয় আরাফাত হোসেন রাব্বি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে, স্থানীয় থানা পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার করে বালতি দিয়ে ঢেকে রাখে।

বোমা নিস্ক্রিয়করন দলের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংবাদ পেয়ে আমরা সেটিও নিষ্ক্রিয় করি। এটিও পুরাতন জং ধরা ও ক্ষয়ে যাওয়া অবস্থায় ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Foreign debt repayment surges 25%

Bangladesh’s repayment of foreign loans surged in the first 10 months while the inflow of loans from bilateral and multilateral lenders continued to fall, according to provisional data from the Economic Relations Division (ERD) released yesterday.

1h ago