শিক্ষার্থীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ, জাবিতে মৌমিতা পরিবহনের ১৬ বাস আটক

আজ সকাল থেকে মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস আটকে রেখেছে জাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-সাভারগামী মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল থেকে মৌমিতা পরিবহনের ১৬টি বাস আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামান দ্য ডেইলি স্টারকে অভিযোগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে টিউশনি শেষে মৌমিতা পরিবহনের বাসে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। এ সময় রেডিও কলোনি এলাকায় তাকে অপহরণের চেষ্টা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে বলা হয়, বাসের হেল্পারকে ১০০ টাকার নোট দিয়ে ১০ টাকা ভাড়া রেখে বাকি টাকা ফেরত চান ওই শিক্ষার্থী। ভাংতি না থাকায় হেল্পার পরে ফেরত দিতে চান। কিন্তু বাস রেডিও কলোনির কাছাকাছি আসার পর হেল্পার জানায় বাস সেখানেই থেমে যাবে, আর যাবে না। 

এ সময় বাসের সব যাত্রী নেমে যায়। ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে না নেমে হেল্পারের কাছে ভাংতি ৯০ টাকা ফেরত চাইলে, হেল্পার টাকা না দিয়ে চালককে বাস ঢাকার দিকে ঘোরাতে বলে এবং চালক বাস ঢাকার দিকে চালাতে শুরু করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাস চলতে শুরু করলে হেল্পার ওই শিক্ষার্থীর হাত ধরার চেষ্টা করলে তিনি বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আহত হন। 

পরে তার সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জাবি মেডিকেলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ও পুলিশ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসিটিভি দেখে কোনো ঘটনা শনাক্ত করতে পারিনি। মৌমিতা পরিবহনের বাস বোঝা গেছে।'

'বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্তের দাবি জানানো হয়েছে,' বলেন তিনি।

বাস আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীরা বাস আটক করেছে। ঘটনা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বাসগুলো এখানেই থাকবে।'

জানতে চাইলে ওসি শাহজামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

8h ago