সাভারে জাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ

সাভারে রাজ্জাক প্লাজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোন মেরামত করাকে কেন্দ্র করে সাভারের রাজ্জাক প্লাজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাশে রাজ্জাক প্লাজার তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে মার্কেটটি বন্ধ আছে।

সংঘর্ষে দুই পক্ষের সাত জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ তারা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের রাশেদ ও বাংলা বিভাগের জুবায়ের। তারা স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ব্যবসায়ীরা জানায়, দুই দিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী সিয়াম টেলিকম নামের একটি দোকানে তার মোবাইল ফোন মেরামত করান। মেরামত করা ফোনে আবার সমস্যা দেখা দিলে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে আজ আবার সেই দোকানে আসেন। সেখানে দোকানদার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে সেই শিক্ষার্থীরা চলে গিয়ে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেব বলেন, গত রোববার আমাদের এক বান্ধবী তার ফোনের পেছনের কাঁচ মেরামত করতে গিয়েছিল। কাজ শেষে ফিরে আসার পর দেখা যায় তার ফোনের ক্যামেরা ঠিক নেই। দোকানে গিয়ে অভিযোগ জানালে মেকানিক তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। ঘটনার কথা জেনে শিক্ষার্থীরা মার্কেটে গেলে পথ বন্ধ করে দিয়ে হামলা চালানো হয়। আমাদের দুই সহপাঠী আহত হয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনে সরাসরি মার্কেটে এসেছি। এখানকার পরিস্থিতি দেখছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি৷

রাজ্জাক প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিমু বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন এখানে এসেছেন। আমরা তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ আমরা আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। উনারা মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নেব। দুই পক্ষ মীমাংসা করতে চাইলে সেটাও পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

'March to Jamuna': Police charge baton to disperse JnU students

At least 25 students were taken to DMCH after suffering injuries from baton charges or falling ill due to tear gas inhalation

29m ago