ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীসভায় মারামারি, মাথা ফাটল ৩ শিক্ষার্থীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মীসভার শেষদিকে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মীসভায় দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মীসভা ছিল। সভা শুরুর পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন সড়কে সমবায় মার্কেটের সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক দ্য ডেইলি স্টারকে ছাত্রলীগের মারামারির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মীসভার শেষদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারীরা। লাঠি-সোঁটা, ছুরি-চাকু ও ব্যাট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কয়েকজন সমর্থককে পেটায়। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

মারামারির একপর্যায়ে মাথা ফেটে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

তারা হলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়া এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং শামসুল আলমের ছেলে আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদাফ। 

তাদের সবাইকে তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহতদের মধ্যে খন্দকার নূরের মাথায় পাঁচটি এবং নীরবের মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। সাদাফের সেলাই লাগেনি। তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত।'

যোগাযোগ করা হলে সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারীদের পিটিয়ে আহত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলায় বলে জানা গেছে। যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার কয়েকজন ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছিল। মূলত উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে।'

জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র বণিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে দুদিক থেকে পুলিশ এসে তাদের থামায়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দুই পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করায়, কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

2h ago