প্রত্যাশিত সিরিজ জয়েও থাকল কিছু অস্বস্তির দাগ 

Bangladesh Cricket Team
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আরও একবার বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মূলত বাংলাদেশের বোলারদের সামলাতে পারেনি তারা। টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রত্যাশিতভাবে সিরিজও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল। তবে এরমাঝেও অস্বস্তি  পুরোপুরি সরানো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে দুজনের রানে ফেরা জরুরি সেই লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত যে আরও একবার ব্যর্থ। যদিও আরও এক ম্যাচে দলকে টেনে নিজের সামর্থ্য দেখান তাওহিদ হৃদয়।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচের বেশিরভাগটাই হয় দিনের আলোয়, তাতে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। তবে টপে অর্ডারে মেলেনি আলোর দেখা। যদিও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি আর জাকের আলি অনিকের কার্যকর ইনিংসে ১৬৫ করে ম্যাচ জেতা গেছে ৯  রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই।

বাংলাদেশের রান তাড়ায় গিয়ে সিকান্দার রাজা, ক্রেইগ আরভিনদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনেও সফরকারীরা করে ১৫৬ রান।

৪০ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে শেষ দিকে তার বোলিংয়ে তৈরি হয় কিছুটা চাপ। ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। শরিফুল ইসলামের জায়গায় খেলতে নামা তানজিম হাসান সাকিব ভালোই করেছেন। ২৬ রান দিয়ে ধরেন এক শিকার। আগের দুই ম্যাচের মতই ভালো করেছেন তাসকিন আহমেদ।

বোলাররা প্রথম দুই ম্যাচেও নিজেদের মেলে ধরে জয় এনে দিয়েছিলেন, এবারও মূল কাজটা করেছেন তারাই। হৃদয় প্রতি ম্যাচেই পেয়েছেন রান। বাকিরা ছিলেন অধারাবাহিক। এরমাঝে লিটন ও শান্তর অবস্থা বেশ বেহাল।

১৬৬ রান জিম্বাবুয়ের জন্য হয়ত একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিলো। তবে রাজা, আরভিনরা ভালো খেলতে পারলে  লড়াই জমাতে পারত জিম্বাবুয়ে। সেই পথের কাছে যেতে পারল না তারা। ওপেনার জয়লর্ড গুম্বি পুরো সিরিজে নিজের নড়বড়ে ছবি দেখালেন আরেকবার।

ওপেনার টাডিওয়ানশে মারুমানি বেশ কিছুটা সময় টিকে আউট হন ২৬ বলে ৩১ করে। আগের ম্যাচে সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া জোনাথন ক্যাম্পবেল করেন ১০ বলে ২১। শেষ দিকে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর ফারাজ আকরাম মিলে ক্ষীণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। নবম উইকেটে তাদের ৫৪ রানের জুটি অবশ্য আক্ষেপই বাড়িয়েছে রাজাদের।

সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ঘিরেই মূলত অস্বস্তির ছবি।  টস হেরে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই চার পেয়েছিলেন লিটন দাস। কাট করেও পান আরেক চার। এই ধারা ধরে অনায়াসে এগুতে পারতেন তিনি। কিন্তু ছন্দহীনতার চাপেই হতো তালগোল পাকিয়ে ফেললেন লিটন। চতুর্থ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে বাউন্ডারি বের করবেন এমন পণ করে ফেলেন। তাতেও সমস্যা ছিলো না। কিন্তু ডেলিভারির আগেই স্কুপের পজিশন নিয়ে নেওয়ায় বোলারের জন্য কাজটা ছিলো সহজ। একই চিন্তায় পর পর দুবার পরাস্ত হয়ে তৃতীয়বারও ভুল থেকে বেরুলেন না। স্কুপ করতে গেলেন আরেকবার, স্টাম্পে টেনে বোল্ড হয়ে খোয়ালেন নিজেকে। সম্ভবত বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও জায়গা অনিশ্চিত করে ফিরলেন মাথা নিচু করে।

ছন্দহীনতায় ভুগছেন অধিনায়ক শান্তও। এক বাউন্ডারিতে ৬ করেই তিনি বোল্ড রাজার বলে।

প্রথম ম্যাচে দুই জীবন পেয়ে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম গত ম্যাচের মতন এবারও সাবলীল ছিলেন না। এক চার, এক ছয়ের পরও তার স্ট্রাইকরেট থাকল একশোর নিচে। ২২ বলে ২১ করে তিনি কাটা পড়েন ফারাজ আকরামের নীরিহ মিডিয়াম পেসে। ৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

আবারও ত্রাতা সেই হৃদয়। জাকেরকে নিয়ে অসাধারণ জুটিতে খেলা নিয়ে আসেন নিজেদের দিকে। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ বলে আনেন ৮৭ রান।  ১৯তম ওভারে গিয়ে দুজনেই আউট হন মুজারবানির বলে। ৩৮ বলে ৫৭ করে ফেরেন হৃদয়। একবার জীবন পেয়ে ৩৪ বলে জাকের থামেন ৪৪ করে। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ-রিশাদ মিলে যোগ করেন ৭ বলে আরও ১৭ রান। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে মুজারাবনিকে নিয়েই ভাবনা ছিলো

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser returns home after joining COP29 in Baku

Chief Adviser Professor Muhammad Yunus returned home this evening wrapping up his Baku tour to attend the global climate meet Conference of Parties-29 (COP29)

1h ago