আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি, গরম কমবে কবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শনিবার দুপুরে অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক চার ডিগ্রি।
এছাড়া যশোরে ৪১ দশমিক ছয়, রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক পাঁচ, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক আট, রাঙ্গামাটিতে ৩৯ দশমিক পাঁচ, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক তিন, খুলনার কয়রায় ৩৯ দশমিক দুই, বাগেরহাটের মোংলায় ৩৯ দশমিক এক, খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাপমাত্রা আরও তিন দিন এ রকমই থাকবে। পরশু কিছুটা বাড়তে পারে। তারপর ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।'
তিনি বলেন, '২ মে থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হবে। এই সময় ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-৪ মে থেকে আশা করা যায়, প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। ফলে তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।'
বজলুর রশিদ বলেন, 'এপ্রিল আমাদের উষ্ণতম মাস। মে মাসেও দেখা যায়, মাঝে মাঝে তাপপ্রবাহ আসে। যেহেতু মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সাধারণত এই বৃষ্টি তিন থেকে পাঁচ দিন হয়। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
'সে ক্ষেত্রে দেশের অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের এবং কোনো কোনো জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র তাপপ্রবাহ আসতে পারে। যেহেতু মে মাসে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, অনেক সময় দেখে যায়, তাপপ্রবাহ না থাকলেও গরম অনুভূত হবে,' বলেন তিনি।
বজলুর রশিদ আরও বলেন, 'এপ্রিলে যে রকম টানা তাপপ্রবাহ ছিল, হয়তো মে মাসে সে রকম থাকবে না। চার-পাঁচ দিন তাপপ্রবাহ থাকলে তারপর আবার বৃষ্টি হবে।'
তিনি বলেন, 'ভৌগলিক কারণে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেশি থাকে। এই জায়গাগুলো দিয়ে ওয়েভ আকারে তাপ প্রবেশ করে। ভারতের গুজরাট, মধ্য প্রদেশ মরু এলাকা হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে বাংলাদেশের মধ্য ভাগ দিয়ে প্রবেশ করে। এই জেলাগুলোকে প্রবেশদ্বার বলা যায়।'
তিনি বলেন, 'আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে সাগর কাছে, এ জন্য তুলনামূলক তাপমাত্রা কম থাকে। আবার হিমালয় কাছে হওয়ায় উত্তরাঞ্চলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।'
ঢাকায় তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে বজলুর রশিদ বলেন, 'ঢাকার তাপমাত্রা দুপুর ৩টার পরে বেশি থাকে। জলাধার-গাছ না থাকায় স্থানীয় তাপ প্রশমিত হয় না। যে কারণে সন্ধ্যা ৬টা বা কখনো কখনো সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গরমের অস্বস্তি বেড়ে যায়। কারণ কংক্রিট উপরি ভাগের তাপ ছড়ায়, দেখা যায় ওই সময় দ্রুত তাপমাত্রা বেড়ে যায়।'
Comments