উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা: নেতাকর্মীদের বিএনপি

বিএনপি

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি।

ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এদিকে, বিএনপি গতকাল এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না কারণ তারা 'প্রহসনমূলক নির্বাচনে' অংশ নিতে চায় না।

সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

৮ মে থেকে চার ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের বিষয়ে দল তার অবস্থানে অটল।

'৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং ২৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না,' ডেইলি স্টারকে বলেন তিনি।

৮ মে অনুষ্ঠেয় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিএনপির ৪৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সংখ্যাটা বড় কিছু নয়, ৮ মে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে। দলের ৪৫ জনের মধ্যে অনেকেই সরে দাঁড়াবেন বলেও মনে করছেন তারা।

তারা বলেন, প্রয়োজনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা চেয়ারম্যান প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রত্যাহারে রাজি করাবেন।

সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিটির কয়েকজন সদস্য স্বতন্ত্রদের ব্যাপারে দলটির নমনীয় অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মত দেন। তবে কমিটির অধিকাংশ সদস্য এ ধরনের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পক্ষে।

২০১৯ সাল থেকে সব নির্বাচন থেকে দূরে আছে বিএনপি।

দলটি এর আগে তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নেতাদের বহিষ্কার করেছিল।

তবে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে চায় বলে উপজেলা নির্বাচনে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus key to take Bangladesh forward: Yunus

"We are now working to bring our beloved Bangladesh back onto the path of equality, human dignity, and justice," he said

2h ago