হেটমায়ারের পরামর্শে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন বাটলার
জস বাটলারের সেঞ্চুরির পর শেমরন হেটমায়ার যেভাবে লাফ দিলেন, মনে হচ্ছিলো তার আনন্দটাই আসলে অনেক বেশি। হয়ত আসলেই তাই। কারণ বাটলারের চিন্তাতেও প্রাধান্য পাচ্ছিলো না তিন অঙ্কের মাইলফলক। বরং কত দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে পারেন সেই চিন্তাতেই খেলছিলেন তিনি। অবশেষে সেটা এসে যাওয়ায় বাটলার জানালেন, তাক শতকের পরামর্শ দেন হেটমায়ারই।
শেষ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ জিততে দরকার ছিলো স্রেফ ১ রানের। সেঞ্চুরির জন্য বাটলারের দরকার তখন ছক্কার। ক্যামেরন গ্রিনের শর্ট বল মিড উইকেট দিয়ে সীমানা পার করে উল্লাসে মাতেন বাটলার-হেটমায়ার। রাজস্থানের জয় নিয়ে অনেক আগে থেকেই কোন সংশয় ছিলো না। বাড়তি হিসেবে মিলল বাটলারের সেঞ্চুরি। আনন্দটা তাই দ্বিগুণ।
অথচ ঠিক আগের ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের শেষ বলটা ব্যাটে পুরোপুরি সংযোগ হলে আর সেঞ্চুরি পাওয়া হয় না বাটলারের। তখন ২ রান দরকার ছিলো রাজস্থানের। ৯৩ রানে থাকা বাটলারের মারা শট যদি ছক্কাও হতো তবে তিনি ৯৯ রানে অপরাজিত থাকতেন। ওই শট মিস টাইমিং হওয়ায় আসে সিঙ্গেল। পরের ওভারে আবার স্ট্রাইক পান বাটলার।
শেষ ওভারের আগে বাটলারকে গিয়ে পরামর্শ দেন হেটমায়ার। ম্যাচ শেষে ম্যাচের আরেক হিরো সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে আলাপে তেমনটাই জানান বাটলার, 'আমার মনে হয় তার উদযাপনটা আমার চেয়ে ভালো ছিলো। আসলে সে আমাকে বলেছিল, 'স্টাম্পের আড়াআড়ি গিয়ে মার, ছক্কা হয়ে যাবে। সে লাফিয়ে উদযাপন করে দৌড়ে এসে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েই যাচ্ছিলো।
শনিবার বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ১৮৩ রান করেছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বাটলারের ৫৮ বলে ১০০ আর স্যামসনের ৪২ বলে ৬৯ রানে ওই পুঁজি পাঁচ বল আগেই টপকে যায় রাজস্থান।
বরাবরের মতন এবারও রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা বাটলার। তবে এবারের আইপিএলে শুরুর তিন ম্যাচে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি তিনি। তাতে চাপ টের পাচ্ছিলেন। তবে নিজের উপর বিশ্বাস রেখে জ্বলে উঠেন ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক, 'আপনি অত দীর্ঘ দিন ধরেই খেলুন না কেন চাপ থাকেই, দুশ্চিন্তাও তৈরি হয় (রান না পেলে)। মাঝে মাঝে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তখন আশাটা জারি রাখতে হয়। বলতে হয়, "সব ঠিক হয়ে যাবে।" নিজের শক্তির জায়গাগুলো ধরে পরিশ্রম করে যেতে হয়।'
Comments