ঈদে বানান সহজ ও সুস্বাদু ডেজার্ট মাহালাবিয়া

মাহালাবিয়া মূলত দুধের পুডিং। রান্নাঘরে থাকা অল্প কিছু উপাদান দিয়ে ১০ মিনিটেই বানিয়ে ফেলা যায় এই মজাদার ডেজার্টটি।
মাহালাবিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের দিন সকালে নাস্তার টেবিলে কিংবা দুপুরে ভারী খাবারের পর খুব সহজ কিন্তু দারুণ মজাদার ডেজার্ট দিয়ে কাউকে চমকে দিতে চান? তাহলে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি কম সময়ে, ঝটপট তৈরি করা যাবে এমন একটি ডেজার্ট।

পারস্য থেকে আসা এই খাবারটি মধ্যপ্রাচ্যে বেশ জনপ্রিয়। এটি তুরস্কে মুহাল্লেবি নামেও পরিচিত।

মাহালাবিয়া মূলত দুধের পুডিং। রান্নাঘরে থাকা অল্প কিছু উপাদান দিয়ে ১০ মিনিটেই বানিয়ে ফেলা যায় এই মজাদার ডেজার্টটি।

চালের গুঁড়ো বা কর্নস্টার্চ ব্যবহার করে এই সহজ ডেজার্টটি বানানো যায়। যদি কর্নস্টার্চ ব্যবহার করে ডেজার্টটি বানান তবে এটি খেতে হবে মসৃণ, মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। তবে প্রাচীন পারস্যে দাদি-নানিরা চালের গুঁড়ো দিয়ে মাহালাবিয়া বানাতেন, যা খানিকটা দানাদানা থাকত।

মাহালাবিয়া বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে এক লিটার দুধ নিতে হবে। সেখান থেকে খানিকটা দুধ বাটিতে তুলে দুই টেবিল চামচ কর্নস্টার্চ বা সমপরিমাণ চালের গুঁড়ো, যেটাই আপনার হাতে নাগালে থাকবে তা গুলিয়ে নিন। তারপর স্বাদমতো চিনি, দুধে গোলানো চালের গুঁড়ো বা কর্নস্টার্চ সম্পূর্ণ দুধের সঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মাহালাবিয়ার স্বাদকে বহুগুণে বাড়াতে চাইলে এতে যোগ করতে হবে ২০০ গ্রাম এভাপোরেটেড মিল্ক বা ক্রিম। হাতে সময় থাকলে দুধকে ঘন জ্বাল করে বানিয়ে নিতে পারেন। নতুবা বাইরে থেকে কিনে এনে যোগ করতে পারেন। এবার সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে  অনবরত নাড়তে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত এই নাড়ানাড়ির কাজ চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসে।

এবার আপনার পছন্দ অনুযায়ী এলাচ, গোলাপ জল বা কমলার নির্যাস যোগ করতে পারেন। আরব দেশে গোলাপজলের প্রচলনটাই বেশি। আর তুরস্কে কমলার ফ্লেভার বেশি জনপ্রিয়।

খুব বড় কোন পাত্রে না ঢেলে ছোট ছোট স্বচ্ছ গ্লাসে মাহালাবিয়া ঢেলে নিতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার জন্য কমপক্ষে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।

এবার পরিবেশনের পালা। মাহালাবিয়ার আসল সৌন্দর্য পরিবেশনে। একে আকর্ষণীয় করতে পেস্তা বাদাম কুচি, শুকনো গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন। আবার রঙিন জেলি  বা ফলের পিউরি মাহালাবিয়ার ওপর ছড়িয়ে দিলেও বেশ আকর্ষণীয় লাগে। কুড়ানো নারকেল ও কিশমিশ দিয়েও পরিবেশন করা যায় মাহালাবিয়া।

 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago