চট্টগ্রাম টেস্ট

ব্যাটারদের নৈপুণ্যে প্রথম দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা 

Bangladesh Cricket Team
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেটবিহীন প্রথম সেশনের পর বাকি দুই সেশন বাংলাদেশের জন্য ছিলো তুলনামূলক ভালো। তবে রানে ভরা উইকেটে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কাই ধরে রেখেছে নিয়ন্ত্রণ। নিশান মাদুশকার শুরুর পর ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল মেন্ডিস। সেঞ্চুরির আগে এই দুজন থামলেও এই ভিত ধরে বড় রানের আভাস দিচ্ছেন বাকিরা।

শনিবার প্রথম দিন শেষে আগে ব্যাটিং নেওয়া শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ  ৪ উইকেটে ৩১৪। ৩৪ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন সাবেক অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল। ১৫   রান করে তার সঙ্গী বর্তমান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৩ রান এসেছে কুশলের ব্যাটে, ৮৬ করে থেমেছেন করুনারত্নে। ওপেনার মাদুশকা করেন ৫৭।  দিনের বাংলাদেশের সফলতম বোলার অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ৬৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রায় এক বছর পর টেস্টে ফেরা সাকিব আল হাসান নিয়েছেন এক উইকেট, আরেকটি রান আউট।

প্রথম দুই সেশনে ২ উইকেটে ২১৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা শেষ সেশনে হারায় আরও ২ উইকেট, যোগ করে আরও ১০০ রান।  চা-বিরতির পর নেমে নিজের ও দলের রান অনায়াসে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন কুশল। তাকে থামানোর কোন উপায় মিলছিলো না। সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার। ম্যাথিউসের সঙ্গেও তার জুটি জমে উঠেছিলো। তবে নার্ভাস নাইনটিতে কাবু তিনি। সাকিবের আর্ম বল ঠেকাতে গিয়ে ব্যাটের বাইরের কানায় লাগান ডানহাতি ব্যাটার। ডানদিকে অনেকখানি ঝাঁপিয়ে ক্যাচ জমান মিরাজ। ১৫০ বলে ১১ চার, ১ ছক্কায় ৯৩ করে থামে তার ইনিংস।

কুশলকে ফেরানোর পর সাকিব কিছুটা তেজ পান। ক্রিজে আসা  চান্দিমালকে প্রথম কয়েক বল ভোগান। তবে ওই ঝাপ্টা সামলে নিয়ে চার-ছয়ে সাকিবকে উড়ান চান্দিমাল। দ্রুতই থিতু হয়ে যান তিনি।

ম্যাথিউস বেশ কিছুটা সময় নিয়ে খেলছিলেন। মন্থর ইনিংসটিতে সহযোগি ভূমিকা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে নতুন বল নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। হাসানের বাড়তি লাফানো বল হকচকিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ২৩ রান করতে ম্যাথিউস খেলেন ৭১ বল। তার ক্যাচও নেন মিরাজ।

দিনের শেষ ৯ ওভার ধনঞ্জয়াকে নিয়ে পার করে দেন চান্দিমাল। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেছেন ২০ রান। দ্বিতীয় দিনে ক্রিজে থাকা এই দুই ব্যাটার ও কামিন্দু মেন্ডিস কি করেন তার উপর নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কার পুঁজি।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago