জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ রেখেছে কানাডা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: ইসরায়েলের সরকারী প্রেস কার্যালয় (জিপিও)
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: ইসরায়েলের সরকারী প্রেস কার্যালয় (জিপিও)

ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো স্থগিত করেছে কানাডা।

কানাডার এক সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

অটোয়া দাবি করেছে, ৭ অক্টোবরের সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে শুধু যোগাযোগ উপকরণের মতো সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে, যার ব্যবহারে কোনো মানুষকে সরাসরি হত্যা করা যায় না।

তবে জানুয়ারির পর থেকে এই উদ্যোগ পুরোপুরি বন্ধ আছে বলে জানান কানাডার সরকারী সূত্র।

ঐতিহাসিকভাবে কানাডার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র পাওয়া দেশগুলোর অন্যতম ইসরায়েল।

রেডিও কানাডা জানিয়েছে, ২০২২ সালে কানাডা থেকে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডীয় ডলার মূল্যমানের অস্ত্র পেয়েছে ইসরায়েল। ২০২১ সালে সংখ্যাটি ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডীয় ডলার।

যার ফলে কানাডার অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়ে এসেছে ইসরায়েল।

মার্চে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক ও আইনজীবীদের একটি জোট ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের জন্য কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তারা দাবি করেন, অটোয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে। 

সোমবার কানাডার পার্লামেন্ট ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে 'দুই রাষ্ট্র' (পৃথক ও সার্বভৌম ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র) সমাধানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পার্লামেন্টে একটি 'বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক নয়' এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত ও নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৬০ জন নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৫৩ জন মানুষ। জিম্মিদের মধ্যে ১৩০ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

কানাডার একটি বন্দুকের দোকান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
কানাডার একটি বন্দুকের দোকান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এ ঘটনার পর থেকে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে সর্বাত্মক ও নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১ হাজার ৮১৯ জন মানুষ। নিহতের মধ্যে ১৩ হাজার শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাকিদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।

আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭২ হাজার ৮৮৯ জন মানুষ।

ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানালেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago